চুয়াডাঙ্গা জাফরপুরে কলেজছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু

ডায়েরি উদ্ধার করে পুলিশ খুঁজছে আড়ালের রহস্য
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জাফরপুর ছাগলামোড় জোয়ার্দ্দারপাড়ার রুপা খাতুনের (২০) গলায় ফাঁস দেয়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলো। তার মৃত্যু নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে নানা গুঞ্জন রয়েছে। রয়েছে প্রশ্নও।
পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, গতকাল সোমবার ভোরে সে তার নিজের ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বিয়ের মাত্র ৩ মাসের মাথায় পিতার বাড়িতে লাশ হলো সে। তার লেখা ডায়েরি পুলিশ উদ্ধার করেছে। তাতে তার কষ্টের বিভিন্ন কথা লেখা রয়েছে বলে জানা গেলেও বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে সূত্র বলেছে, শাহীন নামের একজনের সাথে তার সম্পর্ক থাকার পরও ৪ মাস আগে তাকে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের কেদারগঞ্জ পাড়ার তারিকুল ইসলামের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। এ বিয়ে মেনে নিতে না পারায় সে মাঝে মাঝেই আত্মহত্যা করবো বলে জানাতো।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের জাফরপুর ছাগলামোড় জোয়ার্দ্দারপাড়ার ইয়ার আলীর মেয়ে রুপা খাতুনের মৃতদেহ গতকাল নিজের ঘরের আড়া থেকে উদ্ধারের পর তার মা মঞ্জুরা খাতুন বলেন, কিছুদিন আগে বিজিবি ক্যাম্পের অদূর থেকে গ্রামেরই এক যুবতীর ঝুলন্ত লাশ গাছ উদ্ধার করা হয়, সেই দৃশ্য দেখার পর থেকেই রুপা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। মাঝে মাঝেই আত্মহত্যার চেষ্টা চালাতে থাকে। বিয়ের পর থেকে সে অনেকটা একা সময় কাটাতে ভালোবাসতো। সে তার ডায়েরিতে অনেক কিছুই লিখে গেছে। এদিকে লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তদন্ত গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিবারের সদস্যদের তেমন কারো কোনো আপত্তি না থাকায় এবং আত্মহত্যা নিয়ে প্রশ্ন না তোলায় আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের পক্ষেই মত দেন। ফলে অনুমোদন নিয়ে গতকালই দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।