মহেশপুরে দত্তনগর খামারে অবীজ ধান অধিক মূল্যে কেনার রহস্য কি?

মহেশপুর প্রতিনিধি: মহেশপুর উপজেলা দত্তনগরে ৫টি বীজ বর্ধন খামারে অবীজ ধান বাজার মূল্য থেকে অধিক মূল্যে কেনা নিয়ে রহস্যের জট সৃষ্টি হয়েছে। ৫টি খামারে অবীজ ধান বিক্রির ডেন্ডার আহ্বান করা হয়েছিলো গত ১১ সেপ্টেম্বর। গত ৩ অক্টোবর শিডিউল জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিলো এবং ৪ অক্টোবর টেন্ডার খোলার তারিখ ছিলো। যথা নিয়মে ডেন্টার হলেও এনিয়ে দেখা দিয়েছে নানান জল্পনা কল্পনা। বিআর ২৬, ২৮ ও ২৯ জাতের ধান বর্তমান বাজার মূল্য ৯শ থেকে ১ হাজার টাকা। কিন্তু টেন্ডার প্রাপ্তরা উচ্চ মূল্যে ১ হাজার ৪শ থেকে ১ হাজার ৪শ ৬০ টাকায় কিনেছেন।

দত্তনগর ফার্মসূত্রে জানা গেছে, গোকুল নগর ফার্মের টেন্ডার প্রাপ্ত মাহবুর আলম ১ হাজার ৪শ ৬০ টাকা দরে অবীজ ধান খরিদ করেছেন। কুশোডাঙ্গা ও পাথিলা ফার্মের টেন্ডার প্রাপ্ত আব্দুল হালিম ১ হাজার ৩শ ৬৬ টাকা দরে খরিদ করেছেন। করিঞ্চা ফার্মের টেন্ডার প্রাপ্ত আব্দুল হামিদ ১ হাজার ৪শ ২০ টাকা দরে কিনেছেন এবং মধুরা ফার্মের টেন্ডার প্রাপ্ত ইসমাইল হোসেন ১ হাজার ৪শ ৯৬ টাকা দরে খরিদ করেছেন। এলাকা বাসীর প্রশ্ন, বাজার মূল্য থেকে ৩-৪শ টাকা অধিক মূল্যে অবীজ ধান কেনার রহস্য কি?

একটি গোপনসূত্রে জানা গেছে, টেন্ডারে ধান খরিদ কারীরা ফার্ম কতৃপক্ষের সাথে যোগ সাজসে খরিদ থেকে অনেক বেশি পরিমাণ ধান গোপনে গোডাউন থেকে বের করে নেয়। লোকসান পুশিয়ে লোভ্যাংশ কতৃপক্ষের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়। এবিষয়ে কুশাডাঙ্গা ফার্মের পরিচালক গোরক নাথের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, অধিক মূল্যে ক্রেতারা খরিদ করলে আমাদের কি করার আছে।

অপরদিকে টেন্ডারে ধান খরিদ কারিদের মধ্যে মাহাবুর ইলামের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ১০ ভাগ সিডি জমা দিয়ে তারা ধান ৫-৬ মাস ওই ফার্মের গোডাউনেই রাখবে। ধানের মূল্য বৃদ্ধি পেলে গোডাউন থেকে উত্তোলন করবে। বর্তমানে বিক্রি করলে তাদের লোকসান হবে। এ সকল বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সন্ধের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ময়জদ্দীন হামিদ লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন যে, একটি সিন্ডিগেট ও ফার্মের অসাধু কিছু কর্মকর্তার যোগ সাজসে লাখ লাখ টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে অত্মসাৎ করছে। তিনি এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।