ছিনতাই কারীরা আলমসাধুফিরিয়ে দিতে মোবাইলে বিশ হাজার টাকা চাঁদাদাবী
ভালাইপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুর বাড়াদী ফাঁড়ির পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে ঝিনাইদাহ থেকে মালামাল নিয়ে আসার কথা বলে আলমসাধু ভাড়ানিয়ে আরাপপুর ব্রিজের নিকট কৌশলে চালককে নামিয়ে দিয়ে আলমসাধু নিয়ে পালিয়ে। দুই দিন পর ছিনতায়কারীরা আলমসাদুটি ফিরিয়ে দিতে চালকের মোবাইলফোনে ফোন দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা চাঁদাদাবি করছে বলে অভিযোগ করেন চালক শিলু।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে মেহেরপুরের বলিয়ারপুর গ্রামের চাঁদ আলীর ছেলে শিলু তার নিজের আলমসাধু নিয়ে চাঁনপুর স্ট্যান্ডে ভাড়ার অপেক্ষায় ছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত পরিচয়ের দুজন নিজেদেরকে মেহেরপুর বাড়াদী ফাঁড়ির পুলিশ পরিচয় দিয়ে বলেন, আমরা ঝিনাইদাহ থেকে বাড়াদী পুলিশ ক্যাম্পে বদলি এসেছি আমাদের মালামাল সেখানে আছে। মালামাল নিয়ে আসতে হবে বলে লোভোনীয় ভাড়ার কথা বলে আলমসাধুটি ভাড়া নিয়ে ঝিনাইদহের উদ্দেশে রওনা হন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঝিনাইদহের আরাপপুর ব্রিজের নিকট পৌঁছুলে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা খাবার আনতে দোকানে যেতে বলে আলমসাধুটি নিয়ে পালিয়ে যান। চালকের চিৎকারে লোকজন ছুটে এলেও গাড়িটি উদ্ধার করতে পারেনি।
এদিকে ছিনতায়কারীরা আলমসাধুটি ছিনতাইয়ের ২ দিন পর চালক শিলুর মোবাইলে ০১৯৩৮-৯৫৩৬৬৩ নম্বর দিয়ে ফোন দিয়ে গাড়ি ফিরিয়ে দেবে বলে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা চাঁদাদাবি করছে ছিনতাইকার চক্র।
এ বিষয়ে আলমসাধু চালক শিলু জানান, আমি চাঁনপুর স্ট্যান্ডে থাকা অবস্থায় দুজন লোক পুলিশ পরিচয় দিয়ে ঝিনাইদহ তাদের বাসা থেকে মালামাল নিয়ে আসতে হবে বলে ১৫শ টাকায় ভাড়া ঠিক করে। তাদের দুজনকে নিয়ে ঝিনাইদাহ যাওয়ার সময় আরাপপুর ওভার ব্রিজের কাছে গেলে আমাকে খাবার আনতে বলে আমার গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। তার দুই দিন পর থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে আমার মোবাইলফোনে একাধীকবার ফোন দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা দাবি করে আলমসাধুটি ফেরত দিতে চায়। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।