জীবননগর পৌরসভার কাউন্সিলরদের সংবাদ সম্মেলন

মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশনের প্রতিবাদে

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর পৌরসভার দোয়ারপাড়ায় খাস জমি ও তার ওপর অবস্থিত ঘর নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে বিরোধের জের ধরে স্থানীয় অপর দুটি পত্রিকায় কাউন্সিলরদের জড়িয়ে প্রকাশিত সংবাদকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জীবননগর পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জীবননগর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ কাউন্সিলর সাইদুর রহমান লিখিত বক্তব্য পেশ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৪ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় অপর দুটি পত্রিকায় ‘গ্রামবাসীর প্রতিরোধের মুখে পালিয়ে গেলেন জনপ্রতিনিধিগণ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বলে দাবি করে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরে বলেন, গত ১০ আগস্ট বাদি নুরজাহান বেগম দোয়ারপাড়ার হোসেন আলী খাঁ, তার দু ছেলে লিটন খাঁ ও রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করেন। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে বিচার কার্জ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মেয়রের নির্দেষে বিরোধপূর্ণ ঘরটি তালাবদ্ধ রাখা হয়। ২১ সেপ্টেম্বর এ অভিযোগের শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানী শেষে ২৫ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়। এ আদেশ অমান্য করে বিবাদী পক্ষ পরের দিন ২২ সেপ্টেম্বর জোরপূর্বক তালা ভেঙে ঘরটি দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ ও কাউন্সিলরদের সহযোগিতায় ঘরটি দখলমুক্ত করা হয় এবং মীমাংসাা না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষকে অপক্ষোর জন্য বলা হয়। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে না থেকে বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন শুরু করে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি গত ২ অক্টোবর উভয় পক্ষকে নিয়ে গণশুনানী করেন। শুনানীকে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই কালে শাদা কাগজে লিখিত বিক্রিনামা দেখে সন্দেহ হলে এর লেখক মতিয়ার রহমানকে তাৎক্ষণিকভাবে তলব করলে তিনি জানান পৌর কাউন্সিলর সাংবাদিক আতিয়ার রহমানের নির্দেশে তিনি একটি স্বাক্ষরবিহীন শাদা কাগজে এটি লিখেদিয়েছিন। শুনানী শেষে তিনি বিরোধের নিষ্পত্তির জন্য উভয় পক্ষকে আদালতের স্মরনাপন্ন হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। তবে এ সময় তিনি ওই জমি ও ঘর নিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন।
পরের দিন রুহুল আমীন ও তার লোকজন আইন অমান্য করে তালা ভেঙে ফের ঘরটি দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে আমরা পৌরসভার ৪ কাউন্সিলর সেখানে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য উপস্থিত হয়। বিবাদীর পক্ষের হাতে আহত নুরজাহান ও তার স্বামীকে এ সময় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে গ্রামবাসাসীর কাউকে ধাওয়া না করলেও ওই কাউন্সিলর ও সাংবাদিকের কুবুদ্ধিতে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে পরেরদিন পত্রিকায় মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করা হয়। পৌরসভার কাউন্সিলরসহ পৌরসভার সুনাম নষ্ট ও বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করা হয়। আমি পৌরসভার পক্ষ হতে এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এ যাবত প্রকাশিত সকল মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনকালে পৌর কাউন্সিলর আবুল কাশেম, খন্দকার আলী আজম, আফতাব উদ্দিন, হযরত আলী, মাহফুজা পারভীন বিউটি ও পরিছন খাতুন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Leave a comment