স্টাফ রিপোর্টার: বছরখানেক আগে কাকলী বেগমের ডান হাত ভেঙে দিয়েছিলেন স্বামী শফিকুল ইসলাম। এবার তার বাঁ হাত ভেঙে দিয়েছেন তিনি। শুধু ডান হাত ভেঙেই ক্ষান্ত হননি স্বামী শফিকুল। স্ত্রীর সমস্ত শরীর পিটিয়ে থেঁতলে দিয়েছেন। আঘাতে কেটে গেছে মুখ। আঘাত লেগেছে চোখেও। যন্ত্রণায় হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন কাকলী বেগম। তার অপরাধ তিনি স্বামীকে না জানিয়ে সংসারের জন্য ২শ’ টাকার পাটকাঠি কিনেছিলেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গিরীশনগর গ্রামে।
গ্রামের শফিকুল ইসলাম আজিমের স্ত্রী কাকলী বেগম জানান, যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই অমানবিক নির্যাতন করেন স্বামী শফিকুল ইসলাম আজিম। যৌতুকের টাকা না পেয়ে ছুতোনাতা ধরেই মারধর করেন তাকে। গত বুধবার রাত ৯টার দিকে স্বামী বাড়িতে ঢুকেই জানতে চান এ পাঠকাঠি কোথা থেকে এলো। কাকলী জানান সংসারের প্রয়োজনে কিনেছি। আর কোনো কথা না শুনেই তিনি শোকেচের ড্রয়ার খুলে নিয়ে কাকলীর ওপর হামলে পড়েন। বেপরোয়া পিটুনির ফলে কাকলী মাটিতে পড়ে যান। কাঠের ড্রয়ার দিয়ে মারতে মারতে কাকলীকে অজ্ঞান করে ফেলেন। কাকলীর বাম হাত ভেঙে যায়। চোয়াল কেটে রক্ত ঝরতে থাকে। ডান চোখেও আঘাত পান কাকলী। তাকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কাকলীর পিতা আবদুল করিম অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে কাকলীর ওপর নির্যাতন করে স্বামী শফিকুল। বছর দুয়েক আগে কাকলীর ডান হাত ভেঙে দিয়েছিলো শফিকুল। এবার ভেঙে দিয়েছে বাঁ হাত। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।