সরিষাবাড়ীর পৌর মেয়র নিখোঁজ নিয়ে রহস্য

স্টাফ রিপোর্টার: জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌর মেয়র মোহাম্মদ রুকনুজ্জামান রুকন ঢাকার উত্তরার বাড়ি থেকে নিখোঁজ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিখোঁজের আগের দিন রোববার রাত ৯টা ১৩ মিনিটে তার ফেসবুকে দেয়া একটি স্ট্যাটাসে বলা হয়েছে, ‘নতুন প্রজন্মের কাছে আমার আহ্বান যে আমাকে হত্যা করা হলেও তোমাদের সিক্ত ভালোবাসা যেন অটুট থাকে এবং আমার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা তোমরা ধরে রাখবা’। দল পরিবর্তন করে পৌরসভার নির্বাচনে অংশ গ্রহণ, পৌর সভার এক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা, দুই স্ত্রীর দাম্পত্য কলহ এবং ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বকে সামনে রেখে পুলিশ ও র‌্যাব নিখোঁজের ঘটনাটি তদন্ত করছে। গত সোমবার সকালে উত্তরার ৭ নম্বর সেকশনের পার্কে প্রাত:ভ্রমণ করতে গিয়ে পৌর মেয়র রুকন নিখোঁজ হন। তিনি উত্তরা ১৩ নম্বর সেকশনের ১৪ নম্বর রোডের ৬০ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। ঘটনার পর সোমবার রাতে নিখোঁজের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম টুকুন উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি জিডি করেন।উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মো. আলী হোসেন জিডি দায়েরের খবর নিশ্চিত করে বলেন, জিডি হওয়ার পর পুলিশ তার অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করছে। কেনো তিনি নিখোঁজ হলেন সে বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

পারিবারিক সূত্র জানায়, সরিষাবাড়ী উপজেলা চত্ত্বরের পাশে পৌর মেয়রের বাড়ি। তার প্রথম স্ত্রী কামরুন নাহার হ্যাপী সরিষাবাড়ী সাতপোয়া শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। ওই ঘরে তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছয় মাস আগে মেয়র রুকুন তার বড় ভাইয়ের শ্যালিকা শাহানা ইয়াসমিন মৌসুমীকে ঢাকায় বিয়ে করেন। মৌসুমীর বাবা শাহীন গ্রুপের মালিক শাহীন। সরিষাবাড়ীতে রুকুনের ‘পিয়াজা ইতালিয়া’ নামে একটি তৈরি পোষাক বিক্রির দোকান রয়েছে। ঢাকায় রুকনের বায়িং হাউজের পাশাপাশি তৈরি পোষাক কারখানা রয়েছে। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে রুকন ঢাকার উত্তরায় থাকেন। পৌরসভার কাজে প্রতি সপ্তাহে তিনি নিজ গাড়িতে সরিষাবাড়ী যান।