মুজিবনগরে বাবুপুরে দু পক্ষের সংঘর্ষ ॥ পুলিশের মাথা ফাটার ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ১০ জন হাজতে

মুজিবনগর প্রতিনিধি: মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার বাবুপুর গ্রামে দু পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশের এএসআই মাসুদ রানার মাথা ফাটার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। প্রধান আসামি বাবুপুর গ্রামের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামসহ ১০ জন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সকালে তাদেরকে মুজিবনগর থানা থেকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম (৪৭), বাবুপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মিলন হোসেন (৩৫), মহাব্বত আলী (২৫), হারান শেখের ছেলে আব্দুস সাত্তার (৩৩), মৃত. আবু বক্করের ছেলে মগরেব আলী (৪৫), আশাদুল ইসলামের ছেলে কাবের আলী (২২), কিতাব আলীর ছেলে আব্দুল হালিম (৩৮), ভক্ত মিয়ার ছেলে জিয়াউর রহমান (৪০), হেকমত আলীর ছেলে ফজলু মিয়া (৫৫) ও আকবর আলী (৬০) ।
মুজিবনগর থানাসূত্রে জানা গেছে, কোমরপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই ইমলাক হোসেন বাদী হয়ে মুজিবনগর থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় মহাজনপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য বাবুপুর গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলামকে ১ নং আসামি করা হয়। শহিদুল ইসলামসহ এজাহারভুক্ত ২৯ জন এবং অজ্ঞাত আরও ৩৫-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে সংঘর্ষের পর এবং গতকাল বুধবার পুলিশের অভিযানে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে বাবুপুর গ্রামের সেই সংঘর্ষকারীরা গাঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। থানায় দায়েরকৃত মামলায় ইউপি সদস্যসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদেরকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। তবে অন্য আসামিদেরকেও গ্রেফতার করা হবে।
উল্লেখ, বাবুপুর গ্রামের ঈদগাহে চলাচলের রাস্তা নিয়ে গ্রামের বসুতিপাড়া ও রিফুজিপাড়ার বাসিন্দাদের মাঝে বিরোধ চলছিলো। মীমাংসার জন্য মহাজনপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য বাবুপুর গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলামের বাড়ির পাশে সালিস বসে। বসতিপাড়ার কালু শেখের লোকজন সালিসে উপস্থিত হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষ রিফুজিপাড়ার মগরেব আলীর লোকজন উপস্থিত হয় না। কালু শেখের লোকজন মগরেব আলীর লোকজনকে জোরপূর্বক ধরে আনতে যায়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন একে অপরের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। খবর পেয়ে কোমরপুর পুলিশ ক্যাম্পের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে ইটের আঘাতে এএসআই মাসুদ রানা আহত হন।