ঝিনাইদহে বিদ্যুতের চাহিদা ১শ মেগাওয়াট ॥ সরবরাহ ৪০-৪৫ মেগাওয়াট
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে চাহিদার তুলনায় অর্ধেক বিদ্যুত বরাদ্দ থাকায় লোডশেডিং হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া জরুরি মেইনটেন্যান্স, সিইডার অপারেশন, জরাজীর্ণ লাইন সমস্যার কারণে লাইন বন্ধ রাখতে হয়। বিদ্যুত সরবরাহ নিয়ে সবচে বেশি ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে জেলাজুড়ে। দিনে রাতে একাধিকবার লোডশেডিং করা হচ্ছে। এতে গ্রামাঞ্চলে ২৪ ঘণ্টার ১০ ঘণ্টাই বিদ্যুত থাকছে না। এমনও দিন আছে শহরে ১০-১৫ দফা লোডশেডিং করতে হচ্ছে। শহরে ২-১ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে বলে দাবি বিদ্যুত বিভাগের। এদিকে কারিগরি ত্রুটি, অবৈধ সংযোগ, নি¤œমানের ট্রান্সমিটার, ডিস ও ইন্টারনেটের অবৈধ তারের লাইনে কারিগরি ত্রুটি বড়ছে। তাছাড়া জনবলের অভাবে সেবার মান কমে যাচ্ছে। ঝিনাইদহ বিদ্যুত বিভাগে পদ আছে ১০৬টি, কিন্তু কর্মরত মাত্র ৭৫ জন।
ঝিনাইদহ বিদ্যুত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র সরকার জানান, ঝিনাইদহ জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ১শ মেগাওয়াট। কিন্তু সরবরাহ ৪০-৪৫ মেগাওয়াট। এই চাহিদা আবার পল্লী বিদ্যুত সমিতির সাথে ভাগাভাগি হয়ে যাচ্ছে। ফলে ঘন ঘন লোডশেডিং করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, চাহিদা বাড়াতে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক জাকির হোসেন উর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে জেলা প্রশাসক চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ৭০ থেকে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুত বাড়ানোর কথা বলেছেন।
অবৈধ ইজিবাইকের চার্জার কারখানার কারণে সমস্যা আরো বাড়িয়ে তুলেছে। এছাড়াও রয়েছে ডিশলাইন, ইন্টারনেট, ওয়াইফাই ও সিসি ক্যামেরার লাইন বিদ্যুত পোলের সাথে থাকায় অনেক সময় আগুন ধরে যায়। এতেও বিদ্যুত লাইন বন্ধ রাখতে হয়। বুধবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান, ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকোশলী পরিতোষ চন্দ্র সরকার। তিনি জানান, ঝিনাইদহে চাহিদার তুলনায় অর্ধেক বিদ্যুত বরাদ্দ থাকায় লোডশেডিং হচ্ছে। জেলার ওজোপাডিকো ও পল্লী বিদ্যুত সমিতির প্রতিদিন প্রয়োজন হয় ১০০ মেগাওয়াট কিন্তু সেখানে জাতীয় গ্রিড থেকে জেলায় গড়ে প্রতিদিন সর্বোচ্চ বিদ্যুত পাওয়া যায় ৪৮ থেকে ৫০ মেগাওয়াট। ঝিনাইদহ জেলা থেকে অন্য জেলায় কোন বিদ্যুত পাচার হওয়ার সুযোগ নেই বলে জানান তিনি। অল্প সময়ের মধ্যে বিদ্যুতের এই সমস্যা সমাধান হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। গ্রাহকদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।