একাধিক এনজিও ঋণের জালে জড়িয়ে আত্মহত্যা করেছেন বৈদ্যনাথপুরের গৃহবধূ

হাটবোয়ালিয়া প্রতিনিধি: একাধিক এনজিও ঋণের জালে শেষ পর্যন্ত হতাশায় আত্মহত্যা করেছেন আলমডাঙ্গার বৈদ্যনাথপুরের এক বর্গাচাষির স্ত্রী। গতকাল বুধবার দুপুরে নিজ ঘরের আড়াই গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন মুসলিমা খাতুন নামের ২ সন্তানের জননী।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার বৈদ্যনাথপুর গ্রামের বর্গাচাষি সোহান আলীর স্ত্রী ২ সন্তানের জননী মুসলিমা খাতুন নিজ ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে তার ৬ বছরের শিশুকন্যা সুমী খাতুন ঘরের দরজা ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করে এমন মর্মান্তিক দৃশ্য দেখে চিৎকার শুরু করে। শিশুকন্যার চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা ছুটে গিয়ে গলায় ওড়না বাঁধা মুসলিমা খাতুনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।
প্রতিবেশিরা জানান, মুসলিমা খাতুনের সাথে তার স্বামীর কিংবা অন্য কারও কোনো সমস্যা ছিলো না। তবে তিনি বিভিন্ন এনজিওর ঋণে জড়িয়ে পড়েছিলেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুসলিমা খাতুন জনকল্যাণ সংস্থা থেকে ২০ হাজার, গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন থেকে ১৭ হাজার, সিও থেকে ১৫ হাজার ও আর আর ফাউন্ডেশন থেকেও ১৫/২০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেছিলেন। প্রতি সপ্তায় ৫টি এনজিওর কিস্তির বিপুল অর্থ সংগ্রহ করা তাদের পক্ষে ক্রমেই দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছিলো। এ নিয়ে চরম হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন মুসলিমা খাতুন। এরই এক পর্যায়ে তিনি গতকাল আত্মহত্যা করেন।
এদিকে, ময়নাতদন্তের জন্য গতকালই পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। আজ বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে প্রেরণ করা হবে। এ আত্মহত্যার ঘটনা প্রাথমিকভাবে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Leave a comment