মাথাভাঙ্গা মনিটর: বিরাট কোহলি যে ভালো অধিনায়ক, সেটা ভারতের খেলা দেখলেই বোঝা যায়। অধিনায়কের আগ্রাসী মানসিকতা ছড়িয়ে পড়েছে পুরো দলেই। ভারতের সফলতম অধিনায়কদের সঙ্গে এখনই তুলনা টানা হচ্ছে তার। পরিসংখ্যান কিন্তু ইঙ্গিত দিচ্ছে এর চেয়েও বেশি কিছুর। সব সংস্করণ মিলে কোহলি সাফল্যে ছাড়িয়ে গেছেন রিকি পন্টিং কিংবা ক্লাইভ লয়েডদের!
কোহলি ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব বুঝে পেয়েছেন মাত্র দুই বছর হলো। সব সংস্করণ হিসাব করলে অবশ্য সেটা ছয় মাসের একটু বেশি। এই সময়ে ভারতীয় দল দারুণ খেলছে। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শ্রেষ্ঠত্ব বুঝে নিয়েছে গত বছর। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা তিন ওয়ানডে জিতে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়েও এখন এক নম্বরে ভারতীয় দল। কিন্তু এমন সাফল্যেই দুটি বিশ্বকাপ জেতা দুই অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড কিংবা রিকি পন্টিংকে ছাড়িয়ে গেছেন-এতোটা বলা বাড়াবাড়ি। কোহলি আসলে এদের ছাড়িয়ে গেছেন জয়-পরাজয়ের অনুপাতে। সব সংস্করণ মিলে কমপক্ষে ৬০ ম্যাচ অধিনায়কত্ব করেছেন, এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে কোহলির চেয়ে এগিয়ে নেই কেউ। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ৭২ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন কোহলি। এই ৭২ ম্যাচে ৫২ বারই জিতেছে ধোনির দল। হার মাত্র ১২ ম্যাচে। বাকি আট ম্যাচের ভাগ্যে হয় ড্র লেখা হয়েছে কিংবা ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। এর মানে ৭২.২২ ভাগ ম্যাচেই সফল কোহলি। তার চেয়ে বেশ পিছিয়ে কিংবদন্তি লয়েড (৬৩.২৯ ভাগ)। অস্ট্রেলিয়ার সোনালি প্রজন্মকে নেতৃত্ব দেয়ার সৌভাগ্য হওয়া পন্টিংয়ের সাফল্যও কোহলির চেয়ে কম (৬৭.৯০)। জয়-পরাজয়ের অনুপাতেও কোহলি এগিয়ে। প্রতিটি হারের বিপরীতে ৪.৩৩৩টি ম্যাচে জিতেছে কোহলির ভারত। সর্বজয়ী লয়েডের ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্ষেত্রে এই অনুপাত ৩.৩৩৩। পন্টিং এদিক থেকে অনেক পিছিয়ে (২.৮৫৭)।
তবে কোহলির যাত্রা মাত্র শুরু হয়েছে। এখনো অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা ইংল্যান্ডে সিরিজ খেলা হয়নি এ দলের। অস্ট্রেলিয়া কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকায় কখনো টেস্ট সিরিজ জেতেনি ভারত। ইংল্যান্ডের বর্তমান দলের বিপক্ষেও কাজটা খুব কঠিন। দেশের বাইরে ভারতের পরবর্তী সফরগুলো এ তিন দেশে। এর পরেই বোঝা যাবে, অধিনায়ক হিসেবে কোহলি কতোটা পরিণত হয়েছেন।