নীলমণিগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অনুপস্থিত দু শিক্ষকের প্রতিবাদ বিবৃতি
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা নীলমণিগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দু শিক্ষক বছরের পর বছর বিদ্যালয়ে অনুপিস্থিত বলে যে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে তা সঠিক নয় মর্মে দাবি করে সমাজ বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক উম্মে লাইলা ও কম্পিউটার সহকারী শিক্ষক জাব্বারুল হক বলেছেন, ‘নিয়োগের সময় বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কথা বলে আমাদের নিকট থেকে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা অনুদান নেয়, পরবর্তীতে আমাদের বেতন না হওয়ার কারণে সেই টাকা ফেরত চাইলেও তা দেয়া হয়নি। দীর্ঘদিনের শ্রম, চাকরির বয়সসীমা শেষ হওয়ার কারণে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারি ভেবে বিদ্যালয়ের তরফেই ওই মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে।’
গতপরশু রোববার দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় ‘চুয়াডাঙ্গা নীলমণিগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দু শিক্ষক বছরের পর বছর বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত, পাঠদান ব্যাহত’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অভিযুক্ত দু শিক্ষক উম্মে লাইলা ও জাব্বারুল হক যুক্ত স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে বলেছেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে শিক্ষকত নিয়েই ব্যস্ত থেকেছি। সরকারি চাকরির বয়সসীমাও শেষ হয়েছে ওই বিদ্যালয়ে দায়িত্বপালনের কারণে। অথচ বেতন হয়নি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিদ্যালয়ের তহবিল থেকে আমাদের যাওয়া আসার খরচ বাবদ কিছু অর্থের জন্য আবেদন করেও সাড়া পায়নি। ফলে সংসার নিয়ে চরম সঙ্কটে পড়তে হয়। এক যুগ বিদ্যালয়ে শ্রম দিয়ে নিরুপায় হয়েই বিদ্যালয়ে অনিয়মিত বা অনুপস্থিত হতে হয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে তার সুষ্টু জবাব দেয়ার পাশাপাশি বিদ্যালয়ে যোগদানের ইচ্ছে ব্যক্ত করি। কর্তৃপক্ষ কয়েকটি শর্ত দিলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা দায়িত্বপালন হয়ে ওঠেনি। এরই এক পর্যায়ে আামাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবাদলিপিতে দু শিক্ষক বলেছেন, নিয়োগের সময় বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কথা বলে আমাদের নিকট থেকে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা নেয়া হয়। ওই টাকা ফেরত চাইলে তা দেয়া হয়নি। দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করে শুধু সরকারি চাকরির বয়সসীমাই যায়নি, আর্থিকভাবে বহুক্ষতিগ্রস্থ হতে হয়েছে। এসব ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারি ভেবে আমাদের বিরুদ্ধে ওইসব অভিযোগ উত্থাপন করা হচ্ছে। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।