বন্যার কারণে স্থগিত হওয়া নির্বাচন আজ

চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদে ৩ নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩ জন
স্টাফ রিপোর্টার: বন্যার কারণে স্থগিত থাকা স্থানীয় সরকারের ১৪ প্রতিষ্ঠানে (জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ) রোববার ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোর ভোট হবে। তবে জেলা পরিষদের ভোট সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে চলবে বেলা ২টা পর্যন্ত। ইতোমধ্যে ভোটের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ব্যালটসহ নির্বাচনী মালামাল ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে শনিবার। সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ ভোট করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গত ২০ আগস্ট চট্টগ্রাম জেলার নবগঠিত কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ ও চারটি ইউপির সাধারণ নির্বাচন, সাতটি ইউপির উপনির্বাচন, একটি ইউপির চেয়ারম্যান পদে পুনর্নির্বাচন ও জেলা পরিষদের তিনটি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচনের এ ভোট হওয়ার কথা ছিলো। তবে বন্যার কারণে গত ১৬ আগস্ট তা স্থগিত করা হয়।
আমাদের বেগমপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ রোববার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে স্থগিত হওয়া চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের পুরুষ সদস্য নির্বাচন। কে পরবেন বিজয়মালা। তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে ঘড়ির কাঁটায় ২টা বাজা পর্যন্ত। অপরদিকে এ নির্বাচনে ১৩ ভোটের বিপরীতে জেলা নির্বাচন অফিস একজন নির্বাহী মেজিস্ট্রেটসহ ৩৪ জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে নিয়োগ দিয়েছে বলে জানা গেছে।
সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ রোববার হিজলগাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে গোপন ব্যালটে ভোট দেয়ার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হবে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের স্থগিত হওয়া পুরুষ সদস্য নির্বাচন। একজন পুরুষ সদস্যর বিপরীতে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। প্রার্থীরা হলেন- শফিকুল ইসলাম, আব্বাস আলী, আখলাকুর রহমান আজাদ, জহুরুল ইসলাম, লাল্টু, মানিকুজ্জামান মানিক ও নুরুল ইসলাম। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও শেষ দিনে মনোনয়নপত্র জমা দেননি নুরুল ইসলাম। প্রত্যাহারের শেষদিনে আখলাকুর রহমান আজাদ এবং লান্টু তাদের মনোনয় প্রত্যাহার করে নেন। বাকি ৪ জনের মধ্যে প্রতীক বরাদ্ধ দেয় নির্বাচন কমিশন। এদের মধ্যে মানিকুজ্জামান মানিক (হাতি), আব্বাস আলী (ফ্যান), শফিকুল ইসলাম (টিউবওয়েল) এবং জহুরুল ইসলাম (তালা) প্রতীক। শেষমেশ মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৪ জন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পেলেও এদের মধ্যে আব্বাস আলী (ফ্যান) প্রতিদ্বন্দ্বিতা থকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। বর্তমানে তিনজন রয়েছেন সরব। তিনজন মাঠে থাকলেও মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুজনের মধ্যে। দুজনের মধ্যে কার গলায় উঠবে বিজয়মালা তা দেখতে আর একটু সময় অপেক্ষা করতে হবে উৎসুক এলাকাবাসীকে। তবে বিজয়ী গ্রার্থীকে চড়ামূল্য দিতে হবে বলে এলাকায় জোর গুঞ্জন রয়েছে।
এদিকে ১৩ জন ভোটেরের বিপরীতে একজন নির্বাহী মেজিস্ট্রেট, একজন প্রিসাইডিং অফিসার, ২ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, ৪ জন পোলিং অফিসার, ৯ জন পুলিশ, ১৭ জন আনসার সদস্য সর্বমোট ৩৪ জন লোকবল নিয়োগ দিয়েছে জেলা নির্বাচন অফিস।
উল্লেখ্য, গত ২৮ ডিসেম্বর দেশের বিভিন্ন জেলার ন্যায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও বিভিন্ন কারণে এবং আইনি জটিলতায় স্থগিত হয়ে যায় ৩ নং ওয়ার্ডের পুরুষ সদস্য নির্বাচন। ভোটগ্রহণ এবং ফলাফল প্রকাশের মধ্যদিয়ে সকল জল্পনার অবসান হবে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।