ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজা টেকেনি আপিলে

রেহায় পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গার ডা. শামসুর রহমান
স্টাফ রিপোর্টার: এমডি শামসুর রহমানের আপিল অতিরক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মঞ্জুরপূর্বক ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেয়া সাজা মওকুফ করা হয়েছে। মহামান্য হাইকোর্টের রুল থাকায় তার আপিল মঞ্জুর করে মোবাইলকোটের সাজা থেকে রেহায় দেয়া হয়। অপরদিকে উচ্চ আদালতের আদেশ বলেই শামসুর রহমান ও তার মতো সনদপ্রাপ্তরা ডাক্তার লিখে প্রাকটিসও করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তার পক্ষের আইনজীবী।
জানা গেছে, ডা. এমডি শামসুর রহমান চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের মাঝেরপাড়ার মিজানুর রহমান মানিকের ছেলে। কেদারগঞ্জপাড়ায় বসবাস করেন। জেলা শহরের আলী হোসেন সুপার মার্কেটের সোহাগ অপটিকসে চুক্ষু চিকিৎসক হিসেবে প্রাকটিস করাকালে গত ২৫ জুলাই দুপুরে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ৬ মাসের সাজা দেন। নামের আগে ডাক্তার লেখায় মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টার কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৯ ধারায় সাজা দেয়া হলেও এ রায়ের বিরুদ্ধে চুয়াডঙ্গা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আপিল করেন এমডি শামসুর রহমান। ১ আগস্ট জামিন লাভ করেন তিনি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেয়া সাজা থেকে রেহায় পান ১৪ সেপ্টেম্বর।
শামসুর রহমানের তরফে তার আইনজীবী বলেন, ডা. শামসুর রহমান অল্টানেটিভ মেডিকেল কাউন্সিল কোলকাতা থেকে এমবিবিএস এমএ ডিগ্রি প্রাপ্ত। বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের সদস্যভুক্তির জন্য শামসুর রহমানসহ ১৩৫ জন মহামান্য হাইকোর্টে ডিভিশন রিটপিটিশন ১২৮৫৪/২০১৬ মোকাদ্দমা আনায়ন করলে মহামান্য হাইকোর্ট শামসুর রহমানসহ অন্যান্য দরখাস্তকারীদর সদস্য পদ বহালসহ প্র্যাকটিস করার অনুমতি প্রদানে ২০১৭ সালের ১৫ মে থেকে রুল নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী এক বছর পূর্বের আদেশের সময় বৃদ্ধি করেছেন। ওই রিটপিটিশনবলে ডাক্তার লেখাসহ চিকিৎসা প্রদান করতে পারেন।