চুয়াডাঙ্গার দোস্ত ও কলোনিপাড়া বাজারে জেলা পরিষদের কোটি টাকার সম্পতি ৬৪ জনের দখলে

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দোস্তবাজারে ৮৯ শতক এবং কলোনিপাড়া বাজারে ৩.৬২ একর জেলা পরিষদের জমি দীর্ঘদিন ধরে কতিপয় সুবিধাভোগী ব্যক্তি পাকা দোকান নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছে। আবার কেউ কেউ পরিষদের জায়গা উচ্চমূল্যে লিজ দিয়ে পকেটে ভরছে মাসিক ভাড়া। দু যুুগেরও বেশি সময় ধরে জেলা পরিষদের এ সমস্ত জায়গা বেখল থাকলেও সেদিকে নজর নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দখলদারদের নোটিশ দেয়া হলেও তাতেও কর্ণপাত নেই তাদের।
অনুসদ্ধানে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্ত বাজারের ২১ নং কৃষ্ণপুর মৌজার ২ নং খতিয়ানের ৭৩৫ নং দাগের ৮৯ শতক জেলা পরিষদের জমি দীর্ঘ দু যুগধরে কতিপয় ব্যক্তি ১৯টি পাকা দোকান ঘর তৈরি করে নিজে অথবা লিজ দিয়ে ভোগদখল করে আসছে। লিজ দিয়ে মাসে মাসে মাসিকভাড়া নিজ পকেটে ভরলেও জেলা পরিষদকে কোনো প্রকার লিজের টাকা দেয় না। এ নিয়ে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে একাধিকবার নোটিশ করা হলেও দখলদাররা তাতে কর্ণপাত করেনি। আবার জেলা পরিষদের এ জায়গা নিয়ে স্থানীয়ভাবে রাজনীতিও হয়েছে অনেক।
অপরদিকে একই ইউনিয়নের কলোনিপাড়া বাজারে বেগমপুর ৬৪ নং মৌজায় ১ নং খতিয়ানের ১৪৪৪ দাগে ৩.৬২ শতক পাড়া সড়কের পশ্চিমপাশে জেলা পরিশোধের খাসজমিতে গড়ে উঠেছে সাপ্তাহিক হাট। আর এ সুযোগে হাটের জমি দীর্ঘদিন ধরে ৩২ জন ব্যক্তি ৪৫টি কাঁচাপাকা দোকান ঘর নির্মাণ করে নিজে ব্যবসা করছেন অথবা মোটা অংকের টাকায় লিজ দিয়ে মাসিক ভাড়া পকেটে ভরছেন। দখলদার মধ্যে রয়েছেন- ভুট্ট, আনছার, আকবর, হাসেম, হাফিজুল, আ.হক, আমিনুল, মিজানুর, ফরিদ, রহিম, মফিজুল, নজির, নাছিমা, রিপন, হাসান, হোসেন, হাবিব, রশিদ, জালাল, হাসমতুল্লা, ছামাদ, আমির হোসেন ১টি করে দোকান, আমির হোসেন, মিন্টু, মাসুদ, মাছুম, মুরশিদ, বাবুল ঢালী, আ.ছামাদ, রহমতুল্লাহ ২টি করে দোকান এবং ইকবাল হোসেন ৪টি দোকানঘর নির্মাণ করে জেলা পরিষদের জায়গা দখল করে রখেছেন।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, দোস্ত এবং কলোনিপাড়া বাজারের জায়গা দখলদারদের কেউ জেলা পরিষদের নিকট থেকে কোনো প্রকার লিজ গ্রহণ করেননি। দুটি বাজারে জেলা পরিষদের কোটি টাকার সম্পদ দীর্ঘদিন থেকে বেদখল থাকলেও কর্তৃপক্ষের আজ পর্যন্ত নজরে পড়েনি নাকি নজরে আনতে চাইছে না। জায়গাটি দখলমুক্ত করে নিয়মতান্ত্রিকভাবে লিজের আওতায় আনার জোরদাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। এখন দেখার বিষয় জেলা পরিষদ ওই সরকারি সম্পত্তি কি দখল মুক্ত করতে পারবে? না-কি দখলদারদের দখলেই লিজ না নিয়ে থেকে যাবে?