অভিযুক্ত যুবদল নেতা ইমনের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা

ফেসবুকে শেখ হাসিনাকে কটুক্তি ॥
মেহেরপুর অফিস: ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটুক্তি করায় কটুক্তিকারী যুবদল নেতা ইমন বিশ^াসের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) ধারায় মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মেহেরপুর সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান ওপু যুবদল নেতা ইমন বিশ্বাসকে একমাত্র আসামি করে ওই মামলা করেন। অভিযুক্ত ইমন বিশ^াস মেহেরপুর শহরের নীলমনি সিনেমাহলপাড়ার আব্দুস সাত্তারের ছেলে ও মেহেরপুর পৌর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক।
উল্লেখ্য, জনপ্রিয় সোস্যাল মিডিয়া ‘ফেসবুকে’ নিজের নামের আইডিতে গত রোববার সন্ধ্যায় একটি পোষ্ট দেন ইমন বিশ^াস। পোস্টটি ‘মাসুদ অরুন সৈনিক’ ও আরও ছয়টি আইডির সাথে ট্যাগ করেন। পোস্টটিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মিয়ানমারের অং সান সুচির ছবি পাশাপাশি দেয়া হয়েছে। ওই ৩ জনকে নিজ দেশে খুন, গুম ও দাঙ্গার সাথে জড়িত বলে মন্তব্য করেন ইমন বিশ্বাস। পোস্টটি শেয়ারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মেহেরপুরের সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা প্রফেসর আবদুল মান্নান বিষয়টি নজরে দেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের। প্রতিবাদে বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এবং রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজনের নেতৃত্বে শহরের শিল্পকলার মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি বড় বাজার ঘুরে প্রেসক্লাবের সামনে পথসভা করে। এ সময় ইমন বিশ^াসকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক সাজা প্রদানসহ বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। ওই রাতেই গণপিটুনির শিকার হয় যুবদল নেতা অভিযুক্ত ইমন বিশ^াস। এ ঘটনায় সদর থানা পুলিশ ইমন বিশ্বাসকে শহরের মল্লিকপুকুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ইমন বিশ^াসকে রোববার রাতে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখানো হয়। পুলিশ প্রহরায় হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিলো। পুলিশ সদর দফতরের অনুমতি পাওয়ার পরে গতকাল মঙ্গলবার তথ্য প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ (২) ধারায় মামলা করা হয়।