আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স আড়াইদিন আলমডাঙ্গার ঝোঁপের ভেতর

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: গত আড়াই দিন ধরে আলমডাঙ্গা শহরের ওল্টু মাস্টারের বাগানবাড়ির ঝোঁপের ভেতর সরকারি অ্যাম্বুলেন্স লুকিয়ে রাখা হয়। পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স এভাবে লুকিয়ে রাখায় অনেকের কাছেই কৌতূহলের বিষয় ছিলো।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা শহরের ওল্টু মাস্টারের বাগানবাড়ির ঝোঁপের ভেতর একটি অ্যাম্বুলেন্স লুকিয়ে রাখা হয়েছিলো। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভোর থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর পর্যন্ত ঝোঁপের ভেতর লুকিয়ে রাখা অ্যাম্বুলেন্সটি ঘিরে এলাকার মানুষের কৌতুহলের শেষ ছিলো না। অ্যাম্বুলেন্সটির গায়ে লাল কালিতে লেখা ছিলো ‘সরকারি এ্যাম্বুলেন্স, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, আটঘরিয়া, পাবনা।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার জিল্লুর রহমান পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে ওই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে আলমডাঙ্গা কলেজপাড়ার জনৈক ব্যক্তির বাড়ি বেড়াতে আসেন। গত ২ দিন সপরিবারে ওই ড্রাইভার আত্মীয়ের বাড়ি অবস্থান করেন। ফলে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সটিও সেখানে রাখা হয়েছিলো। জরুরি প্রাণ রক্ষার্থে ব্যবহৃত সরকারি অ্যাম্বুলেন্সটি ২ দিন ধরে আত্মীয়ের বাড়ি আটকে রাখার বিষয়টি গোপন রাখতেই ঝোঁপের ভেতর অ্যাম্বুলেন্সটি রাখা হতে পারে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।
আটঘোরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আবুল হোসেনকে মোবাইলফোনে বার বার যোগাযোগ সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে আটঘোরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক মেডিকেল অফিসার আব্দুস সাত্তার জানান, অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার জিল্লুর রহমান টাউট প্রকৃতির। আটঘোরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি মোবাইলফোন নম্বরে রিং দিয়ে কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সটি গত ২ দিন কোথায় ছিলো জানতে চাইলেও নানা অজুহাতে পরে আর জানানো হয়নি।
তবে কয়েক মিনিটের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার জিল্লুর রহমান মোবাইলফোনে জানান, তিনি ভাইরার জামাইবাড়ি আলমডাঙ্গায় গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। কেন সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে সপরিবারে বেড়াতে গিয়েছিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি ভুল হয়েছে উল্লেখ করে ক্ষমা চান।