দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় পারাপারের অপেক্ষায় ৬ শতাধিক যানবাহন

স্টাফ রিপোটার: দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশ পথ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি সঙ্কট কাটছে না। গতকাল শুক্রবার দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে ৩শ করে ৬ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক, বাস, ছোট-বড় যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে।

একের পর এক ফেরির যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিচ্ছে। এতে দুই ঘাটে যাত্রীবাহী বাসের দীর্ঘ সারির পাশাপাশি টানা দুইদিন ধরে পার হতে পারেনি কয়েক শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় গাড়ির সারি ছাড়িয়ে গেছে চার কিলোমিটার। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত গাড়ির লম্বা লাইন মহাসড়কের গোয়ালন্দ ফিড মিলের কাছে পৌঁছে।

দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় অপেক্ষায় থাকা মাগুরা থেকে ঢাকাগামী ভাঙ্গরি মালামাল বোঝাই ট্রাকের ড্রাইভার মো. আবু হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘাট এলাকায় পৌঁছাই। শুক্রবার দুপুর হয়ে গেলেও পার হতে পারিনি। বিআইডব্লিটিসি’র অফিস সূত্রে জানা গেছে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি বহরে ১৯টি ফেরি দিয়ে সার্বক্ষণিক যানবাহন পারাপার করা হয়।  কিন্তু ঈদে বাড়তি যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামাল দিতে এ  নৌরুটে শিমুলিয়া-কাঠালিয়া রুটে  দুটি ফেরি সংযোগ করা হয়।  কিন্তু গত সোমবার ফেরি দুটি শিমুলিয়া-কাঠালিয়া নৌরুটে ফিরে যায়। ওই দিন সন্ধ্যায় এ নৌরুটে চলাচলরত রো-রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ইঞ্জিন সমস্যায় বিকল হয়। চারদিন হয়ে গেলেও ফেরিটি বহরে যোগ হয়নি। রো-রো ফেরি খান জাহান আলী, শাহ আলী ও কে-টাইপ কপোতী ফেরিকে মেরামতের জন্য নারায়ণগঞ্জের ডকইয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ফেরি স্বল্পতার পাশাপাশি নদীতে এখন স্রোত থাকায় পারাপার হতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ সময় লাগছে। প্রয়োজন মাফিক ফেরি না থাকায় গাড়ি পারাপারও অনেকটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে যে কটি ফেরি রয়েছে এসব ফেরি সচল রেখে সার্বক্ষণিক গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে।