ব্যাংকে চাকরির আবেদনের সুবিধা পাবে যেকোনো শিক্ষার্থী
স্টাফ রিপোর্টার: কোনো সুনির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বিষয়ের শিক্ষার্থী নয়, এখন থেকে ব্যাংকের চাকরিতে আবেদনের সুবিধা পাবে যেকোনো শিক্ষার্থী। গতকাল রোববার দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে ব্যাংকার্স সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে একথা জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সু চৌধুরী। তিনি বলেন, ব্যাংকের চাকরির সার্কুলারে এমটিও (ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার) ও প্রবেশনারি অফিসার (পিও) পদের চাকরির সার্কুলারে কোনো নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা নির্ধারিত বিষয়ের নাম উল্লেখ করা যাবে না। যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যাংকের চাকরিতে আবেদন করতে পারবেন। সভায় এ প্রস্তাবটি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ প্রস্তাবে একমত হয়েছে প্রাইভেট ব্যাংকগুলোও। এ নির্দেশনার পূর্ব পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংক তাদের নিয়োগের সার্কুলারে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভাগের কলা উল্লেখ করতো। এর ফলে অনেক শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার ইচ্ছা থাকলেও তারা সুযোগ পেত না। এস কে সু চৌধুরী আরও বলেন, সভায় প্রাইভেট ব্যাংকগুলোয় নিয়োগ পরীক্ষার ফি বাবদ ২০০ টাকা আদায় করার প্রস্তাব জানায়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। অর্থাৎ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় কোনো ফি আদায় করা যাবে না। মেধাবীদের চাকরিতে সুযোগ করে দিতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইবির অধীন স্থগিত ফাজিল পরীক্ষার নতুন সময়সূচি ঘোষণা
ইবি প্রতিনিধি: সারা দেশে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির কারণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত স্থগিত ফাযিল স্নাতক ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষের পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ৩টায় এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) একে আজাদ লাভলু। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসসূত্রে জানা যায়, বন্যাজনিত কারণে গত ঈদ পর্যন্ত সকল ফাযিল স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। স্থগিতকৃত এই পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি ঘোষণা করেছে কর্র্তৃপক্ষ। গত ১৬ আগস্ট ফাযিল (স্নাতক) পরীক্ষা ২১ সেপ্টেম্বর, ২০ আগস্ট পরীক্ষা ২৭ সেপ্টেম্বর, ২১ আগস্টের পরীক্ষা ৫ অক্টোবর, ২২ আগস্টের পরীক্ষা ১২ অক্টোবর, ২৩ আগস্টের পরীক্ষা ১৯ অক্টোবর এবং গত ১৩ আগস্ট কুড়িগ্রাম জেলার (৪টি কেন্দ্র) স্থগিতকৃত পরীক্ষা ২৬ শে অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া পরীক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইট (www.iu.ac.bd) এ পাওয়া যাবে।
অভিনয় ছাড়ছেন মিশা সওদাগর!
স্টাফ রিপোর্টার: বর্তমানে ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম খলনায়ক মিশা সওদাগর অভিনয় ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সম্প্রতি গণমাধ্যমে তার বক্তব্য তুলে ধরে এমনটিই জানানো হয়েছে। শিল্পী সমিতির বর্তমান সভাপতি গণমাধ্যমকে জানান, ঈদের ছুটিতে জীবন ও কর্ম নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি হচ্ছে- অভিনয় ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত। তবে কোনো রাগ কিংবা অভিমান থেকে নয়, নিজেকে সময় দেয়ার জন্যই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মিশা সওদাগর। অভিনয় ছাড়ার কারণ হিসেবে মিশা সওদাগর বলেন, চলচ্চিত্রের খলনায়ক হিসেবে চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে যে পরিমাণ পরিশ্রম করতে হয় তা এখন আর পারছি না। বয়সের কারণে মারপিটসহ অন্যান্য দৃশ্যে অভিনয় কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে বলেই অভিনয় থেকে সরে যাচ্ছি। হাতে থাকা কাজের বিষয়ে মিশা বলেন, দশটার মতো ছবি হাতে আছে। এগুলোর কিছুর কাজ শেষ, অল্পকিছুর শুটিং ও ডাবিং বাকি রয়েছে। এগুলো শেষ করতে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগতে পারে। তবে নির্মাতা ও প্রযোজকদের বলেছি এক বছরের মধ্যে ছবির নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য। এর মধ্যে নতুন কোনো ছবিতে আর চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন না বলেও জানান তিনি। অবশ্য অভিনয় ছেড়ে দিলেও চলচ্চিত্র ছাড়ছেন না মিশা। পরিচালনায় আসবে কি-না তা এখনো বলতে পারছেন না তিনি। তবে অবসরের পর বাংলা চলচ্চিত্র ও অভিনয়ের মান বাড়াতে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। এদিকে মিশা সওদাগরের সিনেমা থেকে অবসরের বিষয়ে নানা মত রয়েছে। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তার হাতে অনেকগুলো সিনেমার কাজ রয়েছে। এগুলো শেষ করতে তার অন্তত দুই বছরের মতো সময় লাগবে। এর মধ্যে আবার শাকিব খানের সঙ্গে তার একটি সিনেমার সাইনিংয়ের কথা রয়েছে। এতসব কাজ ছেড়ে হঠাৎ করেই তো তিনি চলে যেতে পারবেন না। প্রশ্ন উঠেছে, তিনি যদি সিনেমা ছাড়তে এত বেশি সময় নেন তাহলে এখনই তার ঘোষণা দেয়ার কি হলো? অনেকেই অবশ্য বিষয়টাকে ব্যক্তিগত প্রচারণা হিসেবেও দেখছেন।