বিদেশি টুকরো

রাজ্য থেকে রোহিঙ্গাদের পুশব্যাকে মমতার না

মাথাভাঙ্গা মনিটর: মিয়ানমার থেকে উৎখাত হওয়া যে সব রোহিঙ্গা মুসলিম এ দেশে ঢুকেছেন, তাদের ‘পুশব্যাক’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যগুলোকে এই নীতি মেনে চলতে বলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু সেই নির্দেশ মানতে রাজি নয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জি। মমতা সরকারের সিদ্ধান্ত, উদ্বাস্তু রোহিঙ্গারা রাজ্যে থাকতে চাইলে মানবিকতার খাতিরেই তাদের থাকতে দেওয়া হবে। কোনও অবস্থাতেই জোর করে ফেরত পাঠানো হবে না। রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানায়, রোহিঙ্গারা মুসলিম বলেই কেন্দ্র এমন অবস্থান নিচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্র অমানবিক হলেও আমরা তা হতে পারবো না। মিয়ানমারে সন্ত্রাসের বলি হয়ে গত কয়েক বছর ধরে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা সে দেশ ছেড়ে নৌকা করে বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিচ্ছেন। গত ২৫ অগস্ট থেকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় সেই সংখ্যাটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতে ইতোমধ্যেই আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার জম্মু লাগোয়া এলাকায় রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি মিয়ানমারে গিয়ে এদের সকলকে ‘পুশব্যাক’ করার নীতি ঘোষণা করে এসেছেন।

ধর্ষক গুরুর ডেরা থেকে মহিলা হোস্টেল পর্যন্ত গোপন সুড়ঙ্গ

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের বিতর্কিত ধর্মগুরু বাবা রাম রহিমের ব্যক্তিগত আবাস থেকে সুড়ঙ্গটা চলে গেছে সোজা সাধ্বী নিবাসের দিকে। বাইরে থেকে বোঝার কোনো উপায় নেই। এই গোপন পথের সন্ধান মিলেছে সিরসার ডেরায়। এছাড়াও আরেকটি সুড়ঙ্গের খোঁজ পেয়েছে শুক্রবার থেকে তল্লাশি চালানো একটি দল। হরিয়ানা সরকারের মুখপাত্র সতীশ মিশ্র জানিয়েছেন, আমরা জানালার মতো চৌকোনা একটা সুড়ঙ্গপথ পেয়েছি যেটা ডেরা আবাস থেকে সাধ্বী নিবাস পর্যন্ত গেছে। দ্বিতীয় সুড়ঙ্গটা ডেরার ভেতর থেকে শুরু হয়ে পাঁচ কিলোমিটার বাইরে গিয়ে শেষ হয়েছে। এটা পুরোটাই মাটির। সম্ভবত দরকারে পালানোর পথ হিসেবেই এটা তৈরি রাখা হয়েছিলো, মনে করছে পুলিশ। এদিকে ডেরা থেকে বেআইনিভাবে হাসপাতালে লাশ পাচার করা হতো বলেও জানা গেছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। গত শনিবার ছিলো সিরসার ডেরা সচ্চা সৌদার সদর দফতরে পুলিশি তল্লাশির দ্বিতীয় দিন। তল্লাশিতে পুরো একটি বিস্ফোরক কারখানার খোঁজ মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ৮০ কার্টুনের বেশি বিস্ফোরক। তল্লাশি অভিযান শুরুর ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই খোঁজ মেলে কারখানাটির। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের নির্দেশে ৭শ’ একরের ডেরা চত্বরে তল্লাশি শুক্রবার থেকেই শুরু হয়। তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ এবং সরকারি নানা বিভাগের ১০টি দল। রয়েছে ৪১ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী, ফরেন্সিক দলও।

ফ্লোরিডার উপকূলে এসে শক্তি বাড়াচ্ছে ইরমা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: কিউবা পেরিয়ে ঘূর্ণিঝড় ইরমা এখন ফ্লোরিডার উপকূলে। আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, ফ্লোরিডার দিকে অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে শক্তি বাড়ছে ইরমার। এরই মধ্যে বাতাসের তীব্রতার ছাঁট লাগতে শুরু করেছে মার্কিন অঙ্গরাজ্যটিতে। ফ্লোরিডার উপকূলে ঝড়টি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আঘাত হানবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সময় এর বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০৯ কিলোমিটার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আমেরিকার ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার।

গতকাল রোববার ফ্লোরিডায় ইরমা আঘাত হানবে বলে ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার আগে থেকেই পূর্বাভাস দিয়েছিলো। সে পূর্বাভাসকে সত্য প্রমাণ করে এরই মধ্যে ঝোড়ো বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে সাগরের ঢেউয়ের উচ্চতাও। এরই মধ্যে ফ্লোরিডার ৬৩ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ হিসাবে অঙ্গরাজ্যটির ৩০ শতাংশ মানুষই ইরমা আক্রান্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে রয়েছে ফ্লোরিডার ‘কি’ নামে পরিচিত ছোট ছোট দ্বীপগুলো। একই সঙ্গে টাম্পা বেসহ উপকূলবর্তী এলাকাও যথেষ্ট ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছে হারিকেন সেন্টার। ঝুঁকিতে রয়েছে টাম্পা ও সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরও।