ঝিনাইদহের পুনর্বাসিত ভিক্ষুকরা ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের ভিক্ষুকরা ফের মাঠে নেমেছে। পুরাতন বৃত্তিতে ফিরে গেছে তারা। প্রশাসনের উদ্যোগ কাজে আসেনি। গোযেশপুর গ্রামের আবদুস সাত্তার শেখ শারীরিক প্রতিবন্ধী। হুইল চেয়ারে বসে দোকানে দোকানে ভিক্ষা করেন তিনি। তাকে দেয়া হয়েছিলো ৯টি মুরগির বাচ্চা, মধ্য রোজায় ১০ কেজি চাল। তার প্রশ্ন এতে কি ভিক্ষা করা বন্ধ করা যায়? সাইফুল জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। তার বাড়ি এই উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের রাউতাইল গ্রামে। পুনর্বাসনের জন্য তাকে দেয়া হয়েছিলো একটি ছাগল। সেই ছাগলের অসুখ হলে ৩০০ টাকা খরচ হয়েছে তার। ছাগলটি মারা গেছে। বাবা, মা, স্ত্রী ও এক সন্তানের ভরণপোষণ তাকেই করতে হয়। প্রতি মাসে তার খরচ ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। সেই টাকা জোগাড় করতে ভিক্ষা করতে হয় তাকে। তার মতো অনেকেই এখন আগের বৃত্তিতে ফিরে গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ভিক্ষুক আছে ৬৫১ জন। এর মধ্যে সদর পৌরসভায় আছে ৭০ জন। এর মধ্যে ২১৯ জনকে ফেয়ারপ্রাইজ কার্ড, ১ জনকে সেলাই মেশিন, ১১৬ জনকে হাঁস-মুরগি, ২১ জনকে ওয়েট মাপার মেশিন, ৩৪ জনকে ছাগল, ৭৩ জনকে নগদ অর্থ, ১৫ জনকে প্রতিবন্ধী ভাতা, ২০ জনকে বিধবা ভাতা, ৩১ জনকে বয়স্ক ভাতা, ৩০ জনকে ভিজিডি কার্ড, ৪ জনকে ৭টি করে শাড়ি-লুঙ্গি ও ১৭ জনকে ৫ হাজার করে টাকা দেয়া হয়। পৌরসভার ৭০ জন ভিক্ষুককেও উপকরণ দেয়া হয়। জেলা প্রশাসনের দফতর, উপজেলা পরিষদসহ ১৭ জন ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা, উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন দফতরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতন ভিক্ষুক পুনর্বাসন প্রকল্পে ব্যয় করা হয়। সর্বমোট বিভিন্ন খাত থেকে ভিক্ষুকদের বাবদ ৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে সদর উপজেলার ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন থেকে নেয়া টাকা ভিক্ষুকদের জন্য খরচ করা নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।