মহেশপুরে গণধর্ষণের অভিযোগে পৃথক ২টি ঘটনায় ৩ জন আটক

মহেশপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুরে গণধর্ষণের অভিযোগে পৃথক ২টি ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করেছে মহেশপুর থানা পুলিশ। এলাকাবাসী ও মহেশপুর থানা সূত্রে প্রকাশ, শুক্রবার রাতে কুসুমপুর গ্রাম থেকে মৃত দাউদ ম-লের ছেলে শুকুর আলী এবং একই গ্রামের আব্দুল খালেক ম-লের ছেলে হাসিবুলকে এসআই অজয় কুমার আটক করে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নেপা ইউপির ঘোষপুর গ্রামের এক মেয়ে রাত ৮টার দিকে দত্তনগর থেকে নেপা যাওয়ার উদ্দেশে এক আলমসাধুতে উঠে ওই আলমসাধুতে আরেকজন যাত্রী ছিলো। আলমসাধুটি সোনাগাড়ি পৌঁছুলে আলমসাধুর ড্রাইভার ও আলমসাধুতে থাকা যাত্রী জোরপূর্বক মেয়েটি গাড়ি থেকে নামিয়ে মাঠে এক আমবাগানের মধ্যে নিয়ে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে দত্তনগর ফাঁড়ি পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে ভিকটিম বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করেছে। ভিকটিমকে মেডিকেলের জন্য ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে বৃহস্পতিবার রাতে মহেশপুর থানার এসআই মাসুদ হোসেন অভিযান চালিয়ে বজরপুর গ্রামের আবুল হোসেনের কলেজপড়–য়া ছেলে সাকিব হাসানকে গ্রেফতার করে। মামলার এজাহারসূত্রে জানায় যায়, আসামি রোকন ও মিজান দুজন মিলে জীবননগর থানার হাসাদাহ গ্রামের ১০ম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ঈদের দিন বিকেলে মেয়ের বজরপুর গ্রামে ফুফুর বাড়ি যাওয়ার পথে মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে একটি আখক্ষেতের মধ্যে নিয়ে কয়েকজন বন্ধু মিলে চেতনানাশক টিস্যু মুখে ধরে তাকে অজ্ঞান করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তার আর এক বোনকে রাস্তায় আটকে রাখা হয়। তার ডাক চিৎকারে মাঠে কর্মরত লোকজন আখক্ষেতের ভেতর থেকে উদ্ধার করে বজরাপুর তার ফুফুবাড়ি নিয়ে যায়। এ বিষয়ে মহেশপুর থানায় মেয়ের পিতা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আহম্মেদ কবির জানান, আসামিদের আটকের জন্য জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।