চুয়াডাঙ্গায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক ঘণ্টায় সাড়ে ৭ লাখ বৃক্ষরোপণ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক ঘণ্টায় সাড়ে ৭ লাখ বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টা থেকে একটা পর্যন্ত জেলা জুড়ে এই বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম চলে। বৃক্ষরোপণকে কেন্দ্র করে গোটা জেলায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘সবুজ চুয়াডাঙ্গা, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।’
বৃক্ষরোপণের মূল উদ্যোক্তা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ দুপুর ১২টায় সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামে আমগাছের চারা ও তালের বীজ রোপণ করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ সময় পুলিশ সুপার মো. নিজাম উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তরিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি দে ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, জেলা পরিষদ চত্বরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকন মহানীম গাছের চারা রোপণ করেন। এ সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পত্মী কাউসার জাহান, জেলা পরিষদ সদস্য শহিদুল ইসলাম সাহান, জাফর আলী, শফিকুল আলম নান্নু, মুজাবুল ইসলাম লিটন, শফিউল কবীর ইউসুফ, মাফলুকাতুর রহমান সাজু, খলিলুর রহমান, নুরুন্নাহার কাকলি ও হাসিনা খাতুনসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলার ৪ উপজেলায় বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল কলেজ মাদরাসা ও রাস্তার ধারে বাড়ির আঙিনায় গাছের চারা লাগানো হয়। জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া চরমভাবাপন্ন। এখানে শীতের সময় শীত বেশি ও গরমের সময় গরম বেশি। বনভূমি ২৫ শতাংশ থাকার কথা থাকলে আছে ১৫ শতাংশ। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর আগে রংপুরের তারাগঞ্জে এক ঘণ্টায় ২ লাখ ৭ হাজার গাছ লাগানোর রেকর্ড আছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ রেকর্ড। তিনি দাবি করেন, ‘ভারতের মধ্যপ্রদেশে একদিন সর্বোচ্চ ৬ লাখ বৃক্ষরোপণের রেকর্ড রয়েছে। কিন্ত, এক ঘণ্টায় এতো গাছ লাগানোর রেকর্ড এটাই প্রথম।’
ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন উদ্যোগে পাল্টে যাচ্ছে গোটা জেলার চিত্র। এরমধ্যে জেলা জুড়ে এক ঘণ্টায় একই সাথে সাড়ে ৭ লাখ গাছের চারা রোপণ সবচেয়ে বেশি প্রশংসা কুড়িয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত জেলাব্যাপী ওই কার্যক্রম চলে। গাছের চারা রোপণকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজে মেতেছিলো জেলাবাসী। এর প্রধান উদ্যোক্তা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র গ্রামের মাঠে আমগাছের চারা ও তালের বীজ রোপণ করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
কার্যক্রমে অংশ নেন পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার ফরহাদ আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও আলমডাঙ্গা সার্কেল) তরিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি দে, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবায়ের মাসরুর নিউটন, জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর সুচিত্র রঞ্জন দাস, সহকারী কমিশনার ফখরুল ইসলাম, জেলা সামাজিক বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুল হক, শঙ্করচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান, সিরাজগঞ্জ জেলার পরিবেশবাদী সংগঠন স্বাধীন জীবনের নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক নাসিম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। পরে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি রেলগেট সংলগ্ন জলাশয়ের পাশে গাছের চারা রোপণ করা হয়। এ সময় পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তাসহ অন্যান্য কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
জেলার প্রতিটি পৌর এলাকায়, গ্রামে, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তার পাশে ও বাড়ির আঙিনায় একই সাথে সাড়ে ৭ লাখ গাছের চারা রোপণ করা হয়। এরমধ্যে রয়েছে ৫ লাখ ২৫ হাজার ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা এবং ২ লাখ ২৫ হাজার তাল বীজ।
জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ জানান, মূলত পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে ওই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার আবহাওয়া চরমাভাবাপন্ন। এখানে শীতের সময় শীত ও গরমের সময় গরম বেশি। এ জেলায় বনভূমি ২৫ শতাংশ থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ গাছের চারা রোপনের মাধ্যমে ওই শূন্যতা অনেকটাই পূরণ করা যাবে। এটি বিশ্ব রেকর্ড হতে পারে বলে তিনি দাবি করে বলেন, ভারতের উত্তর প্রদেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৬ লাখ গাছের রেকর্ড রয়েছে। এছাড়া ভারতে একদিনে ২ লাখ ৭ হাজার গাছ রোপণ করা হয়েছিলো। কিন্ত, এক ঘণ্টায় সাড়ে ৭ লাখ গাছ লাগানোর রেকর্ড এটাই প্রথম। আর চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাসে এটি মাইল ফলক হয়ে থাকবে।
কার্যক্রম সম্পর্কে অভিন্ন মন্তব্য করেন পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দিন। এদিকে জেলা প্রশাসকের ওই উদ্যোগকে সাদুবাদ জানিয়েছে জেলাবাসী। বৃক্ষরোপণ অভিযান সপ্তাহে জেলাব্যাপী গাছের চারা রোপণের ওই উদ্যোগের সিদ্ধান্ত নেন জেলা প্রশাসক।
সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে জেলাব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আওতায় সরোজগঞ্জ তেতুল শেখ কলেজ ও ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা ঝিনাইদহ সড়কের সরোজগঞ্জ ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে থেকে সড়কের দুই পাশে ১২শ তালের বীজ, ফলজ ও বনজ বৃক্ষরোপণ করা হয়। গতকাল বিকালে তেতুল শেখ কলেজের শিক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি হাজি আজিজুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মসূচির উদ্ধোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তেতুল শেখ কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতি তেতুল শেখ কলেজে ও ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হাজি আব্দুল্লা শেখ, তেতুল শেখ কলেজের পরিচালনা কমিটির সদস্য জালাল উদ্দিন মহর, তেতুল শেখ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম কিবরিয়া, ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ তেতুল শেখ কলেজ ও ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ।
বেগমপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদের নির্দেশে এবৃক্ষরোপণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ সময় বিদ্যালয় চত্বরে বিভন্ন প্রজাতির শতাধিক গাছের চারা রোপণ এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে ৪ শতাধিক চারা বিতরণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে একযোগে ১ লাখ ৯০ হাজার ফলজ ও বনজ বৃক্ষ এবং ৫০ হাজার তালের বীজ রোপণ করা হয়। দুপুর ১২টা ১ মিনিটে উৎসবমুখর আনুষ্ঠানিকতায় এই বৃক্ষরোপণ অভিযান যৌথভাবে উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহান। উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, স্থানীয় সুধিজন, উপজেলার দফতর প্রধান, ইউপি চেয়ারম্যান, সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদুর রহমান অরুণ, জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা শ্যামল কুমার পাল, প্রাণী সম্পদ অফিসার আব্দুল্লাহিল কাফি, একাডেমিক সুপারভাইজার ইমরুল হক, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারী, আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) লুৎফুল কবীর, সমাজসেবা অফিসার আবু তালেব, সহকারী শিক্ষা অফিসার শাহরিয়ার কবির, উপজেলা ফরেষ্টার আব্দুল হামিদ প্রমুখ। শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আনিসুজ্জামান, আলমডাঙ্গা মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক হারেজ উদ্দিন, আলী কদর, রওশন আরা, সমীর কুমার সাহা, রাম কুমার সাহা, হাসিনুর রহমান, নজরুল ইসলাম, সহিদুল আলম, মাজেদুর রহমান প্রমুখ।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের উদ্যোগে আলমডাঙ্গা জেলাপরিষদের ডাকবাংলা চত্বরে ফলজ ও বনজ বৃক্ষরোপণ করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ সামসুল আবেদীন খোকন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সহধর্মীনি মিসেস কাওসার জাহান, জেলা পরিষদ সদস্য মাফলুকাতুর রহমান সাজু, জেলা কৃষকলীগের ঋণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক ইলিয়াস স্বপন, অর্থ সম্পাদক ওসমান গণি বিস্কুট, সহদফতর সম্পাদক শেখ কামরুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা নেছার আহমেদ প্রিন্স, জেহালা ইউপি সদস্য হিরালাল, রহিদুল, নয়ন, সিরাজুল, আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা তপন, ছাত্রলীগ নেতা হাসান, সাজাবুদ্দিন, রয়েল, মাসুদ প্রমুখ।
এছাড়া আলমডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এরশাদপুর একাডেমি, এরশাদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, এম সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বেলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুমারী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাইকপাড়া জনকল্যাণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাঁচলিয়া জামাল উদ্দীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মীর সামসুদ্দীন আহমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, হাটবোয়ালিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ, আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজে অনুরূপ বৃক্ষরোপণ অভিযান পালন করা হয়। হারদী নিপ্পন জোহা অ্যাডুকেশন কমপ্লেক্সে বৃক্ষরোপণ অভিযান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। উপস্থিত ছিলেন এমএস জোহা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ওমর ফারুকসহ সকল কলেজ ও ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ এবং প্রধানরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের মাঝেও গাছের চারা বিতরণ করা হয়।
অন্যদিকে, হারদী ইউনিয়নে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের উদ্যোগে ১৮ হাজারের অধিক বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঈদগাহ, মসজিদ, কবরস্থানসহ বিভিন্ন স্থানে এ বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে গ্রিন চুয়াডাঙ্গা গড়ার লক্ষ্যে আলমডাঙ্গার খাদিমপুর ইউনিয়নের ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ মুক্তিযোদ্ধা সুশিল সমাজের মানুষের মধ্যে মোট ১০ হাজার ফলজ, বনজ ঔষুধি গাছ বিতরণ করা হয়। গতকাল সকাল ১০টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে গাছ বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম ম-ল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেনসহ ইউপি সদস্য ফকির, আব্দুল হান্নান, শিপন, দবিরসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এদিকে জেহালা ইউনিয়ন এলাকার সমস্ত স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, মসজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ করা হয়। জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের তত্ত্বাবধানে এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির ১০ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। মুন্সিগঞ্জ একাডেমীতে বৃক্ষরোপণের সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুর রাজ্জাক, প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমানসহ সহকারী শিক্ষকবৃন্দ। এছাড়া এলাকার মুন্সিগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, সৃজনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ, মুন্সিগঞ্জ পশুহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলোকিত কিন্ডার গার্টেনসহ সব প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠুভাবে বৃক্ষরোপণ করা হয়। জেহালা ইউনিয়ন এলাকার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির তত্ত্বাবধান করেন ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল হক রোকন। সৃজনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ চত্বরে বৃক্ষরোপণের সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক আহাদ আলী মোল্লা, পার্শ্ববর্তী মুন্সিগঞ্জ পশুহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনছার আলী, আলোকিত কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক ইউপি মেম্বার ওহিদ আলী মোল্লাসহ শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ। এছাড়া মুন্সিগঞ্জের ইউনিক কিন্ডার গার্ডেন অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন প্রকার গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্কুলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান পুলক, পরিচালক আবিদুদ্দোজা কেবল, জেহালা ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল হক রোকন, স্কুলের পিন্সিপাল অর্চনা রানী পাল, শিক্ষক আনছার আলী, শিমুল, শাহানা, আনোয়ারা, জান্নাতুল, সাবের প্রমুখ।
আসমানখালী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার গাংনী ইউপির সহযোগিতায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদের উদ্যোগে গাংনী ইউনিয়নে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও বড় গাংনী পুলিশ তদন্ত্র কেন্দ্রে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে এক যোগে ১০ হাজার ফলজ, বনজ ও ঔষুধী বৃক্ষের চারা রোপণ কর্মসূচি সফল করা হয়েছে। এ সময় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি করেন গাংনী ইউপি থেকে ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের আবু ও ইউপি সদস্য স্কুল শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীরা।
অপরদিকে, ভাংবাড়ীয়া ইউপির সহযোগিতায় জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নে বয়স্ক, বিধোবা ও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ কবরস্থানে এক যোগে গতকল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে, ১০ হাজার ফলজ, বনজ ও ঔষুধী বৃক্ষের চারা রোপণ করা হয়েছে। সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান কাওসার আহম্মদ বাবলু, প্রধান অতিথি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজিবার রহমান। উপস্থিত ছিলেন বাদল, হাফিজুর রহমান মিয়া, সোহান মিয়া, আরিফুল ইসলামসহ ইউপি সদস্যবৃন্দ।
জামজামি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গতকাল বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। জেলাব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামজামি ইউনিয়নে এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম।
উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা সহকারী প্রকৌশলী মোস্তফা কামাল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি দিদার আলী মালিতা, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রতন শাহ, ইউপি সচিব আলমগীর হোসেন, ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন, বাদশা ম-ল, শুকুর আলী, আসমান আলী, খয়বার আলী, উদ্যোক্তা শিল্পি খাতুন প্রমুখ। ইউনিয়নের সকল শিক্ষা-ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে একযোগে ১০ হাজার ফলজ-বনজ বৃক্ষরোপণের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি পালনে উদ্যামী ভূমিকা পালন করেন।
দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ‘সবুজ চুয়াডাঙ্গা-সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ’ এই স্লেøাগানকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একযোগে লক্ষাধিক গাছের চারা এবং ৭৫ হাজার তালের আটি রোপণ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান মাও. আজিজুর রহমান দশমী ঈদগাহ ময়দানে গাছের চারা রোপণের মধ্যদিয়ে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, জেলা তথ্য অফিসার আমিনুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালমা জাহান, দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক শরীফুল আলম মিল্টন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন, উপসহকারী প্রকৌশলী (দূর্যোগ) নুরুজ্জামান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মতিন, দামুড়হুদা প্রেসক্লাব সভাপতি হাবিবুর রহমান, সহসভাপতি মোজাম্মেল শিশির, সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার হোসেন বকুল, দামুড়হুদা সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ, শিক্ষক বশীর আহমেদ, দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি এখলাছ উদ্দীন সুজন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী, মুফতী রুহুল আমিন, সাবেক মেম্বার আবুল হাশেম, শিক্ষক আজগার আলীসহ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দামুড়হুদা কানন বিদ্যাপীঠ, দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজ, দশমী কবরস্থানে গাছের চারা রোপণ করা হয়।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, দামুড়হুদা উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৮০ হাজার, পৌরসভায় ১০ হাজার এবং উপজেলা পরিষদে ২০ হাজার মোট ১ লাখ ১০ হাজার গাছের চারা এবং প্রায় লক্ষাধিক তালের আটি রোপণ করা হয়েছে। তিনি জেলা প্রশাসকের এ মহতি কাজে সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের আন্তরি অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।
কুড়–লগাছি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কুড়ুলগাছি ইউনিয়নেও দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ও রাস্তার ধারে গাছ লাগানো হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদের নির্দেশে জেলাব্যাপী সাড়ে ৭ লাখ গাছের চারা লাগানোর উদ্যোগ নেয় হয়। দামুড়হুদার কুড়–লগাছিতেও সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে তাল বীজ ও রাস্তার ধারে ধারে রোপন করা হয়। কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ এনামুল করিম ইনু দুপুর ১২টার দিকে ইউপি চত্বরে বৃক্ষরোপণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি মেম্বার আব্দুল হাই, আব্দুল কাদির, সিদ্দিকুর রহমান কাবিল, ইউপি সচিব নাইম উদ্দীন।
কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় তাল বীজ বিতরণ ও রোপণের উদ্বোধন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের গ্রিন চুয়াডাঙ্গা, ক্লিন চুয়াডাঙ্গা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি পালিত হয়। উপজেলার ৩ নং কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় কার্পাসডাঙ্গা-কানাইডাঙ্গা সড়কে ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান ভুট্ট তাল বীজ রোপণের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সচিব মহি, ইউপি সদস্য আব্দুল হাকিম, মুকুল মোল্লা, আব্দুর রাজ্জাক, মন্টু, আসলাম, ভগু, মনিরুজ্জামান মনি, সিরাজুল, আসাদুল, কহিনুর, গুলছুন নাহার, রহিমা প্রমুখ।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, ‘সবুজ জীবননগর, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ এ স্লোগান নিয়ে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে জীবননগর উপজেলায় দেড় লাখ বৃক্ষ রোপণ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজা যৌথভাবে বৃক্ষরোপণ এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কর্মসূচির আওতায় উপজেলার সর্বত্র ১ লাখ পিস ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বজ্রপাত মোকাবেলায় ৫০ হাজার পিস তালগাছ রোপণ করা হচ্ছে। গাছের মধ্যে আম, কাঁঠাল, মেহগুণি, আকাশমনি, বেদানা, চালতা, পেয়ারা, কামরাঙ্গাসহ ১১ প্রজাতির বৃক্ষ রয়েছে। সবুজ বেষ্টনী কার্যক্রম সফল করতে উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাতেও বিনামূল্যের এ চারা তুলে দেয়া হচ্ছে।
বাড়ির আঙ্গিনায়, সড়কের দু ধারে ও কৃষি ক্ষেতের আইলে এসকল বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে। বৃক্ষরোপণ এ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের দত্তনগর কৃষি ফার্মের যুগ্ম পরিচালক আব্দুল মালেক, জেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন অফিসার জিয়াউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আওতায় আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে বিভিন্ন ফলজ, বনজ ও তাল বীজসহ বিভিন্ন প্রজাতির ১০ হাজার চারা বিতারণ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, মসজিদ, মাদারাসা, গোরস্থান ও বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সব চারা বিতরণ করেন। এ সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক, মসজিদ, মাদরাসা ও গোরস্তান কমিটির নেতৃবৃন্দ চারা বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন।

 

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গোটা জেলায় একযোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সম্পন্ন করা হয়েছে। ‘সবুজ চুয়াডাঙ্গা, সমৃদ্ধি বাংলাদেশ’ এ স্লোগানকে সামনে রেখেই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেয় সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। দর্শনা ডিএস সিনিয়র ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে, ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছে চারা রোপণে সকলের মধ্যে ছিলো মহাৎসব। দর্শনা ডিএস ফাজিল মাদরাসা চত্বরে বৃক্ষরোপণকালে উপস্থিত ছিলেন মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি গোলাম ফারুক আরিফ, আ.লীগ নেতা আতিয়ার রহমান হাবু, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আরিফুজ্জামান, হাজি ফললুর করিম, হাজি আ. মালেকসহ মাদরাসার শিক্ষকরা।