হিংসা অবশ্যই উৎকর্ষ মেলে ধরার পথে অন্তরায়

সমস্যাটা পুরোনো। ইচ্ছে করলেই এ সমস্যা যারা দূর করতে পারেন, রোধ করতে পারেন বহু দুর্ঘটনা- তারাও জানেন সমস্যাটা নতুন নয়। এরপরও কেন সমস্যা দূর হয় না? আড়ালে অবশ্যই স্বার্থান্ধতা। যদিও স্বার্থে সমস্যা জিইয়ে রাখার চেয়ে দ্রুত দূর করে নিজের বা নিজেদের উৎকর্ষতা মেলে ধরাই উত্তম। তাতে লাভও বেশি।
সমস্যাটা শুধু যে চুয়াডাঙ্গার তা নয়, পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোরও। আন্তঃজেলা সড়ক যোগাযোগ মানেই বাস আর শ্যালোইঞ্জিন চালিত অবৈধযান। এক সময় ঘোড়া ও গরুর গাড়ি ছিলো, এখন নেই। আছে অবৈধযান। নতুন করে যুক্ত হয়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এবং ইঞ্জিনচালিত তিন চাকার গাড়ি। যা থ্রি-হুইলার হিসেবে পরিচিত। আর ৪ চাকার পিকআপও নতুন করে যুক্ত হয়েছে, তবে তা এখনও আন্তঃজেলা নয়, আভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতেই চলাচল করছে। সঙ্গত প্রশ্ন, বাস হলেই তো হয়, এতোসব কেন?
সময়ের  স্রোতে প্রয়োজনের তাগিদেই মানুষকে বাড়াতে হয়েছে গতি। ফলে গতিহীন গাড়িগুলোকে বিদায় নিতে হয়েছে, হচ্ছে। যুক্ত স্বল্প জ্বালানির নতুন গতির গাড়ি। যাত্রী সাধারণ খুঁজে নিচ্ছে তাদের প্রয়োজনীয় যানবাহন। যে যানবাহন ব্যবস্থা যাত্রী সাধারণের খরচ কমিয়ে বেশি সুবিধা দিতে পারছে তার কদর বাড়ছে। তা না হলে এতো কিছুর পরও কি শ্যালোইঞ্জিনচালিত অবৈধ যানে যাত্রী উঠতো? নিশ্চয় আন্তঃজেলা সড়কগুলোর পরিবহন অতোটা সুবিধাজনক নয়, যতোটা সুবিধাজনক প্রত্যাশা করে যাত্রী সাধারণ।
সড়কে অবৈধযান যেমন সমস্যা, তেমনই আন্তঃজেলা বাস চলাচালকারী বাসগুলোর শুরুতে মন্থরগতি ও শেষে বেপরোয়া গতি। অবৈধযানের কারণে যেমন সড়কে বেড়েছে দুর্ঘটনা, তেমনই আনাড়ি চালক ও যাত্রী বেশি নিয়ে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছুনোর কটূকৌশলও দুর্ঘটনার জন্য কম দায়ী নয়। ফলে সমস্যাটা সংশ্লিষ্টদের বহুদিন ধরেই চেনা। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য বাস মালিক ও পরিবহন শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দের আশুপদক্ষেপ নিতে হবে। পুরোনো সমস্যা তাড়াতে পদ্ধতি পাল্টানো দরকার।
সময়ের  স্রোতে টিকতে হলে অবশ্যই দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো দরকার। গতানুগতিকতা যেমন পেছনে টানে, তেমনই সময়পোযোগী হতে না পারলে ছিটকে পড়তে হয়। হিংসা অবশ্যই উৎকর্ষ মেলে ধরার পথে অন্তরায়। আন্তঃজেলা বাস সার্ভিসগুলোর সেবার মান বৃদ্ধি যেমন সময়ের দাবি, তেমনই সড়ক নিরাপদ করা জরুরি।