মেধাবী স্কুলছাত্রী সীমার বাঁচার আকুতি

জীবননগর ব্যুরো: হতদরিদ্র ঘরের মেধাবী সন্তান সীমা খাতুন (১৪)। সে জীবননগর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। মেধাবী সীমার এ বয়সেই একটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। অন্যটিও আক্রান্ত। ঝাল-মুড়ি বিক্রেতা পিতার পক্ষে তার ব্যয়বহুল এ চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। সীমা বাঁচতে চাই। এজন্য সে দেশের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিসহ প্রধানমন্ত্রীর নিকট সাহায্যের জন্য আবেদন জানাচ্ছে।

জীবননগর হাসপাতালপাড়ার আশারেক ওরফে আশা ঝাল-মুড়ি বিক্রেতা। তিনি হাসপাতালের সামনে ও বালিকা বিদ্যালয়ের গেটে ঝাল-মুড়ি বিক্রি করে সংসার নির্বাহ করে থাকেন। তার মেয়ে সীমা জীবননগর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। এবার সে জেএসসি পরীক্ষার্থী। সম্প্রতি সীমার শরীর ফুলে যেতে থাকলে তার পিতা প্রথমে তাকে কুষ্টিয়া ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়ে ভর্তি করেন। রাজশাহী মেডিকেলের কিডনি ও মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক ডা. নূরুল ইসলাম চৌধুরী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন সীমার একটি কিডনি ইতোমধ্যে ড্যামেজ হয়ে গেছে। অন্যটিও আক্রান্ত হয়েছে। সীমার এখনো বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। এছাড়াও প্রতিদিন তার বিপুল অঙ্কেকর টাকার ওষুধ খেতে হচ্ছে; কিন্তু হতদরিদ্র পিতা আশার পক্ষে মেয়ের চিকিৎসার এ ব্যয় বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মেধাবী স্কুলছাত্রী সীমা বাঁচতে চাই। এজন্য সে সকলের নিকট সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়েছে। আপনার একটু সাহায্য তাকে হয়তো সৃষ্টিকর্তা এ পৃথিবীতে বাঁচার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে পারে। নি¤েœাক্ত বিকাশ নম্বরে ০১৯৩৫-৭৯৩৩০৫ সাহায্য পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।