চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট প্রস্তুতি কমিটির রিভিউসভা অনুষ্ঠিত

ইসলাম রকিব: চুয়াডাঙ্গা ফুটবলের ইতিহাসে বিগ বাজেটের জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ টুর্নাামেন্ট এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। নড়ে-চড়ে বসতে শুরু করেছে নতুন-পুরাতন প্রজন্মের ফুটবল প্রিয় দর্শক ও খেলোয়াড়গণ। এ সকল ফুটবল খেলোয়াড় ও ফুটবল প্রিয় দর্শকরা বলতে শুরু করেছেন চুয়াডাঙ্গার সোনালি অতীতের ফুটবল কি আবারো গতি পেতে চলেছে। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের চৌকস গোলরক্ষক চুয়াডাঙ্গার কৃতিসন্তান আ. মোমেন জোয়ার্দ্দার বলেন, ভাবতে ভালোই লাগছে। চুয়াডাঙ্গার নবাগত জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ চুয়াডাঙ্গার ফুটবল অঙ্গনকে আবারো চাঙ্গা করার জন্য অতীত-বর্তমানের ফুটবল খেলোয়াড় ও ফুটবল সংগঠকদের সঙ্গে নিয়ে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। আমার এখন মনে হচ্ছে আমার যদি সেই বয়স থাকতো তাহলে আবারো ফুটবলের জার্সি গায়ে ঝাঁপিয়ে পড়তাম খেলার মাঠে। চুয়াডাঙ্গা ফুটবলের আর এক নক্ষত্র আশরাফ জোয়ার্দ্দার সাবু বলেন, এক সময় চুয়াডাঙ্গার ফুটবলাররা ইস্ট পাকিস্তানের হয়ে (বর্তমান বাংলাদেশ) পশ্চিম পাকিস্তানের লাহোর, করাচি, বেলুচিস্তান, ভারতের মোহনবাগান, অ্যারিয়েন্স ক্লাবসহ দেশ-বিদেশের মাঠ কাঁপাতো। চুয়াডাঙ্গার ফুটবলাদের নাম শুনলেই খেলা দেখার জন্য ভীড় জমে যেতো দর্শকদের। চুয়াডাঙ্গা ফুটবলের সেই স্বর্ণযুগ হয়তো আর ফিরে আসবে না । কারণ জাতীয়ভাবেই বাংলাদেশ ফুটবল এখন পিছিয়ে পড়েছে। তবে চুয়াডাঙ্গার নতুন জেলা প্রশাসক চুয়াডাঙ্গার ফুটবলে প্রাণ সঞ্চারের জন্য যে চেষ্টা করছেন তা ভোলার নয়। তবে এখনই জেলা প্রশাসককে নাম্বার দিচ্ছি না। সফলভাবে টুর্নামেন্টটি সম্পন্ন হলেই নাম্বারটি দিবো।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি কমিটির রিভিউ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। রিভিউ সভায় টুর্নামেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রথম সভায় যে ১৪টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছিলো সে সকল কমিটির নাম ঘোষণা, নাম সংযোজন-বিয়োজন ও ১৫ লক্ষ টাকার বাজেট উন্মুক্ত করা হয়। ১৪টি উপকমিটি হলো সাংগঠনিক কমিটি, পরিচালনা কমিটি, অর্থ কমিটি, অভ্যুত্থনা কমিটি, খেলা পরিচালনা কমিটি, মাঠ প্রস্তুত কমিটি, আইনশৃঙ্খলা কমিটি, প্রচার কমিটি, আবাসন কমিটি, স্মরণিকা প্রস্তুত কমিটি, আপিল কমিটি, আপ্যায়ন কমিটি, সাজ-সজ্জা কমিটি ও সেরা খেলোয়াড় বাছাই কমিটি। জেলা প্রশাসক কমিটির নাম ও বাজেট ঘোষণার পর দর্শকদের মাঠমুখি করার ব্যাপারে হাউজে সকলের উদ্দেশে বলেন, সমাজের বিত্তবানরা যদি টিকেট ক্রয় করে দর্শকদের বিনামূল্যে দেন তাহলে তারা আরো বেশি উৎসাহিত হবে। প্রথমেই জেলা প্রশাসক ঘোষণা দেন তিনি প্রতিদিন ১শটি করে টিকেট ক্রয় করে তা বিনামূল্যে দর্শকদের দিবেন। এরপর ঘোষণা দেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার নিজামউদ্দিন, জেলা জজশিপের বিচারক ও চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু। এছাড়া যারা একদিনের জন্য ১শটি করে টিকেট ক্রয় করে বিনামূল্যে দিবেন তারা হলেন জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের সভাপতি এ নাসির জোয়ার্দ্দার, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. নুরুল ইসলাম ও চুয়াডাঙ্গা নাইটিঙ্গেল ক্রিকেট একাডেমির পরিচালক সাংবাদিক ইসলাম রকিব।
রিভিউ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মো. জসীম উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট খন্দকার ফরহাদ আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এসএম ইসরাফিল, অধ্যক্ষ নওরোজ মো. সাঈদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৃনাল কান্তি দে, জেলা তথ্য অফিসার আমিনুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি হুমায়ুন কবীর মালিক, মজিবুল হক মালিক, এ নাসির জোয়ার্দ্দার, সরোয়ার হোসেন জোর্য়াদ্দার, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম লাড্ডু, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সেলিনা খাতুন, সাবেক কৃতিফুটবলার আশরাফ জোয়ার্দ্দার সাবু, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সাবেক গোলরক্ষক আ. মোমেন জোয়ার্দ্দার, জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আশাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমন, সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবুসহ জেলা ক্রীড়া সংস্থা, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সকল সদস্যগণ।