চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদহ বাজারে মারামারি ॥ ছয়ঘরিয়ার জিসানকে পুলিশে সোপর্দ

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: ডিঙ্গেদহ মানিকদিহির আলেককে বাটাম দিয়ে মেরে আহত করে মোটরসাইকেলে উঠে চলে যাওয়ার সময় গণপিটুনির স্বীকার হলো ছয়ঘরিয়া গ্রামের লিটুর ছেলে জিসান। রাতেই তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। সাথে থাকা অন্য হামলাকারীরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনাটি ঘটেছে গতপরশু রোববার রাত ৯টার দিকে ডিঙ্গেদহ বাজারের কাশেম সুইটসের সামনে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে ডিঙ্গেদহ মানকদিহির আ.রাজ্জাক ও হামলায় আহত রায়হানের ছেলে আলেক হোসেন জানান, গত রোজার ঈদের সময় ডিঙ্গেদহ মাদরাসা মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র জাফরপুরদের সাথে হাতাহাতি হয়। প্রতিশোধ নেয়ার জন্য প্রায়ই হুমকিধামকি দেয়। গত শনিবার কোরবানির ঈদের দিন জিসান ডিঙ্গেদহ মানিকদিহি মামুন ও চন্দনের বাড়িতে এসে কথা আছে বলে ডিঙ্গেদহ বাজারে ডেকে এনে তাদের মারধর করে। এর জের ধরে গতপরশু রোববার রাত ৯টার দিকে জিসান জাফরপুর থেকে মোটরসাইকেলযোগে লোকজন নিয়ে ডিঙ্গেদহ বাজারে গিয়ে মামুনের সাথে তর্ক করতে থাকলে আলেক এসে জিসানকে জিজ্ঞাসা করে তোমাদের কি হয়েছে। এ কথা বলার সাথে সাথে জিসান আলেকের মাথায় বাটাম দিয়ে আঘাত করে মোটরসাইকেলেযোগে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বাজারের লোকজন জিসানকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়। আলেক চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে।
অপরদিকে ছয়ঘরিয়া গ্রামের জিসানের পিতা লিটু জানান, এক স্কুলছাত্রী জিসানের প্রায়ই মোবাইলফোনে কল দিতো। ডিঙ্গেদহ মানিকদিহির রাজ্জাকের ছেলে মামুন ওই মেয়ের পিছু পিছু ঘুরতো। মামুন ব্যর্থ হয়ে জিসানের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে জিসানকে মোবাইলফোনে প্রায়ই হুমকি দেয়। গত শনিবার কোরবানির ঈদের দিন জিসান ডিঙ্গেদহ বাজারে গেলে মামুন ও জিসানের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। এর জের ধরে গতপরশু রোববার সকাল থেকে মামুন ০১৯৬৩-৭১০৭০৯ নম্বর মোবাইলফোন দিয়ে জিসানকে হুমকি দিতে থাকে এবং বলতে থাকে তুই কেমন মস্তান হয়েছিস ডিঙ্গেদহ বাজারে আস তোকে শিক্ষা দেবো। এরপর জিসান সন্ধ্যায় তার ৫-৬ জন বন্ধুদের সাথে করে ডিঙ্গেদহ বাজারে বেড়াতে গেলে মামুন পরিকল্পিতভাবে তার লোকজন দিয়ে জিসানের মাথায় ও সমস্ত শরীরের বাঁশ দিয়ে বেদম মারপিট করতে থাকে। সংবাদ পেয়ে সরোজগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলাম এসে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জিসানকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠান। জিসানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তার মাথায় ৫টি, থুতমিতে ৩টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এছাড়া ও সমস্ত শরীর মেরে থেতলে দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো পক্ষই মামলা করেনি।