বিষ্ণুপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের বিরুদ্ধে নিরীহ ব্যক্তিকে তুলে এনে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার বিষ্ণুপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এএসআই ফলমান আলীর বিরুদ্ধে মাহফুজ (২৫) নামের এক নিরীহ টাইল্সমিস্ত্রিকে গভীর রাতে ঘুম থেকে তুলে এনে ৩ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ফাঁড়ির করিমনচালক আরিফ প্রতিবেশী এক গৃহবধূকে দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। ওই গৃহবধূ আরিফের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বাড়িতে ফেনসিডিল রেখে তার স্বামীকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়া হবে বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ। এ ঘটনায় পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ওই ভুক্তভোগী গৃহবধূ।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই মৃত নজিরের ছেলে সবুজের (২৪) বাড়ি। গত রোববার সবুজের বাড়িতে খালাতো ভাই পীরপুর গ্রামের হালিমের ছেলে টাইল্সমিস্ত্রী মাহফুজ বেড়াতে আসে। রাতের খাবার খেয়ে পরিবারের সকলে ঘুমিয়ে পড়ে। বিষ্ণুপুর পুলিশ ফাঁড়ির করিমনচালক আরিফ ফাড়ির ইনচার্জ এএসআই ফরমানের সাথে যোগসাজস করে রাত ৩টার দিকে সবুজের বাড়িতে যায় এবং মাহফুজকে ঘুম থেকে তুলে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। এ সময় আইসি ফরমান মাহফুজকে বলে ৫ হাজার টাকা দে ছেড়ে দেবো। না হলে গাঁজা দিয়ে চালান দেবো। কোনটা করবি তুই ভেবে দেখ। ওই রাতে টাকা জোগাড় করতে না পারায় পরদিন সকালে সবুজ ৩ হাজার টাকা নিয়ে ক্যাম্প ইনচার্জ ফরমানকে দেয়ার পর তিনি মাহফুজকে ছেড়ে দেন এবং বলেন টাকার কথা যেন কাউকে না বলা হয়।
এ বিষয়ে সবুজের স্ত্রী পাপিয়া বলেছেন, করিমনচালক আরিফ আমাকে দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। আমি সাড়া দেইনি তাই আরিফ পুলিশ নিয়ে এসে আমার আত্মীয়কে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গেছে। আমি থানায় অভিযোগ করবো একথা শুনে আরিফ বলেছে আমি পুলিশের সাথে থাকি। পুলিশ আমার কথায় ওঠে বসে। আমার কিছুই হবে না। তুই যদি আমার প্রস্তাবে রাজি না হওয়া পর্যন্ত তোর বাড়িতে যে আত্মীয়ই আসুক না কেন সবাইকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেবো। আর এ সব কথা বাইওে কারোর সাথে বললে বাড়িতে ফেনসিডিল রেখে তোর স্বামীকে ধরিয়ে দেবো। আরিফ আরও বলে তোর ঘরে রাতে বাতি জ্বলে কেন? বাতি নিভিয়ে রাখবি। আমি রাতে আসবো। পাপিয়া আরও বলেন, আমি তাদের ভয়ে থানায় অভিযোগও করতে পারছি না। ৩ হাজার টাকা নিয়েও খান্ত হয়নি। ফোনে হুমকি দিয়ে আরও টাকা চাচ্ছে। তাদের অত্যাচারে যদি খারাপ কিছু হয়ে যায় তবে আমাকে আত্মহত্যা করতে হবে। আর আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবে ওরাই। বিষয়টি পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ পাপিয়া।

Leave a comment