গাংনীর করমদীতে ছাগল মারা নিয়ে বিরোধ : রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের সাতজন আহত

গাংনী প্রতিনিধি: ছাগল মারার ঘটনায় মেহেরপুর গাংনী উপজেলার করমদী গ্রামে দু পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হচ্ছেন- করমদী গ্রামের আবুল কালামের ছেলে আবুল বাসার (৩২) ও সেন্টু মিয়া (৪৮) ও সেন্টুর মিয়ার ছেলে শাহীনুজ্জামান (২৫) এবং অপরপক্ষের মৃত জহুর আলীর ছেলে মোফাজ্জেল হোসেন (৬০) ও আমিরুল ইসলাম (৫২) এবং আমিরুল ইসলামের নিকটাত্মীয় প্রবাসী বাবুল হোসেনের স্ত্রী রেজমিনা খাতুন (৩৫) ও দাউদ হোসেনের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন (৩০)। গুরুতর আহত বাসার, সেন্টু, শাহীনুজ্জামান ও মোফাজ্জেল হোসেনকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

স্থানীয় ও আহত সূত্রে জানা গেছে, সপ্তাখানেক আগে আবুল বাসারের একটি গাভীন ছাগল হারিয়ে যায়। প্রতিপক্ষ মোফাজ্জেল হোসেনের লোকজন ছাগলটিকে মেরে পুঁতে দিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিলো। এর জের ধরে গতকাল বিকেলে উভয়পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতরা গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। গ্রামে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।

গাংনী হাসপাতালের কর্তৃব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, আহত দুই নারী ও এক পুরুষ গাংনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যে তিনজনকে কুষ্টিয়া রেফার করা হয়েছে তাদের আঘাত গুরুতর।