মেহেরপুরে ফুল বিক্রেতাকে শারীরিক নির্যাতন : প্রতিবাদে আজ মানবন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার: বেদম প্রহারে মেহেরপুরের ফুল ব্যবসায়ী টুটুল হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। গতকাল বিকেলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় মেহেরপুরের বিচার বিভাগীয় একজন ম্যাজিস্ট্রেট হাসপাতালে তাকে দেখতে গেলে উত্তেজিত জনতা রুখে দাঁড়ায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তিনিই তার খাসকামরায় ফুলবিক্রেতাকে মারপিট করেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার সাথে সাথে মেহেরপুরের সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে উত্তেজনা দানা বাধে। তাৎক্ষণিকভাবে এর প্রতিবাদ জানিয়ে মেহেরপুর হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজ মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফুল বিক্রেতা টুটুল হোসেনের মামা বাসেদুল ইসলাম জানান, একজন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পিয়ন মেহেরপুর শহরের বড় বাজারের ইত্যাদি ফুল ঘরে কাজে যান। ফুল নিয়ে বাগবিত-া হয়। একপর্যায়ে এমএলএসএস ফিরে যান। পরে পুলিশ ফুল ব্যবসায়ীকে নিয়ে যায়। বিকেলে কোর্টরোড থেকে ফুল বিক্রেতা টুটুল হোসেন তার স্বজনদেরকে জানান যে, ম্যাজিস্ট্রেট তাকে মারধর করেছেন। স্বজনরা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। তার হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে ঘুমের ইনজেকশন দেয়ায় তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। তার সাথে বারবার কথা বলার চেষ্টা করলেও চিকিৎসকরা কথা বলতে নিষেধ করেন। ফলে তার নিকট থেকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় হাসপাতালে টুটুলকে দেখতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের তোপের মুখে পড়েন অভিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেট। বিক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ীরা তার ওপর চড়াও হন। উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নিরাপদে পৌঁছে দেন। হাসপাতালের এ ঘটনার পর নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়টি বিভিন্ন মহলে ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ী মহলে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের প্রতিবাদে আজ বুধবার সকালে শহরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সধারণ সম্পাদক আরিফুল এনাম বকুল।