দামুড়হুদার কানাইডাঙ্গা স্কুলে জামায়াতের বৈঠক আয়োজন করায় এলাকায় তোলপাড়

কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জামায়াতের বৈঠক আয়োজন করা নিয়ে এলাকায় তোলপাড়া সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় স্কুলের সভাপতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন। জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জামায়াতের মনোনয়ন প্রত্যাশী রহুল আমিনের নেতৃত্বে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শুরু হওয়ার আগেই পুলিশি উপস্থিতিতে তা ভেস্তে যায়। পুলিশ জানায়, প্রশাসনের কোনো অনুমতি না থাকায় পণ্ড করে দেয়া হয়। নাশকতামূলক কোনো কর্মকাণ্ড হচ্ছে কি-না খতিয়ে দেখতে দামুড়হুদা মডেল থানা ও কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই অনুষ্ঠান পণ্ড করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় শুরু হয় নানামুখি আলোচনা সমালোচনা। প্রকাশ্য জামায়াতের এমন কাণ্ডে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

অভিযোগ রয়েছে, আগেও কয়েকবার জামায়াতের নেতাকর্মীরা বিদ্যালয়ের প্রধান, সহকারী প্রধান শিক্ষক ও পিয়নের সহযোগিতায় বিভিন্ন সময় বিদ্যালয়ের রুমে ও কখনো ছাদে ইফতার মাহফিলসহ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এ ঘটনার মূল দু নায়কের আসল চেহারা। তারা আর কেউ নন খোদ বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক জামায়াত নেতা মো. ফেরদাউস ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম। গোপনসূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন প্রধান শিক্ষকের অনুমতিতে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ খুলে প্রথমে ঘণ্টাব্যাপি গোপন বৈঠক করে জামায়াতের নেতারা ওই মিটিঙে উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক সাবেক ৭ নং ওয়ার্ডের জামায়াতের সভাপতি। পরে তারা ঘটনা আঁচ করতে পেরে দ্রুত বিদ্যালয় ছেড়ে মাঠে অবস্থান নেন।

এ ব্যাপারে  বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রেজাউল বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  ও সহকারী প্রধান শিক্ষক জামায়াতের প্রভাবশালী নেতা। তাই আমি একপ্রকার তাদের কাছে কোণঠাসা হয়ে পড়েছি। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার নতুন একটি ভবনও দিয়েছে। একটা বিদ্যাপীঠে এভাবে প্রকাশ্য জামায়াতের মিটিং তাও আবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে। বিদ্যালয়টির অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যাবস্থা নিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে লিখিতভাবে জানানো হবে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে মোবাইলফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ থাকার কারণে কথা বলা সম্ভাব হয়নি। এদিকে অভিভাবকরা বলেন, বিদ্যালয়ের ভেতর নিষিদ্ধ জামায়াতের মিটিং এটা দুঃখজনক। আমরা  প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।