ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: স্কুলে যাওয়ার পথে প্রকাশ্য দিবালোকে স্কুলছাত্রীকে ভ্যান থেকে নামিয়ে নেয়ার সময় বাধা দিলে ভ্যানচালক ও ছাত্রীর পিতাকে মেরে আহত করার অপরাধে এক সন্তানের জনক খেজুরা গ্রামের ওসমানের ছেলে শিপনের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য অভিযুক্ত শিপন বিভিন্ন ধররনের হুমকি দিচ্ছে বলে অবিযোগ করেছে স্কুলছাত্রীর পিতা কুশোডাঙ্গা গ্রামের আশাদুল। এরপর থেকে মেয়েকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ছাত্রীর পিতা। ঘটনার ১৩ দিন পার হলে ও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে না পারায় ফুঁসে উঠতে শুরু করেছে বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও অবিভাবকগণ।
এ ব্যাপারে স্কুলছাত্রীর পিতা কুশোডাঙ্গা গ্রামের আশাদুল জানান, তার মেয়ে শাপলা ডিঙ্গেদহ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। বাড়ি থেকে বের হয়ে খেজুরা গ্রামের রাস্তা দিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে থাকে। ৫-৬ মাস আগে থেকে খেজুরা গ্রামের ওসমানের বখাটে ছেলে শিপন তার মেয়ে শাপলাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এ ঘটনায় ডিঙ্গেদহ বাজারের জমিরের আড়তে বসে মীমাংসা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিপন শাপলাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতে থাকে। ১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্কুলে যাওয়ার জন্য শাপলাকে ভ্যানে তুলে দিয়ে পিছু পিছু বাইসাইকেলে চড়ে ডিঙ্গেদহ বাজারে যাচ্ছিলেন শাপলার পিতা আশাদুল। শাপলাকে বহনকারী ভ্যানটি নবগঙ্গার ব্রিজের ওপর পৌঁছুলে বখাটে শিপন শাপলাকে ভ্যান থেকে নামিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় শাপলার পিতা আশাদুল ও ভ্যানচালক শাপলাকে রক্ষা করতে যান। এ সময় শিপন ক্ষিপ্ত হয়ে ভ্যানচালকে কিলঘুষি ও শাপলার পিতা আশাদুলকে লাঠি দিয়ে মেয়ে আহত করে। ওই সময় শাপলার পিতা আশাদুল মেয়েকে নিয়ে ডিঙ্গেদহ বালিকা বিদ্যালয়ে এসে ঘটনাটি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষককে জানালে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বখাটে শিপনের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর থেকে কয়েক দিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। আরও বলা হচ্ছে, অভিযোগ তুলে না নিলে কি হবে, খুব জোর ১ মাসের জেল হবে। জেল থেকে বেরিয়ে এসে তোমার মেয়ের কি পরিণতি হবে একবার ভেবে দেখো। এরপর থেকেই মেয়েকে নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফ উদ্দিন বলেন, বিচার না হলে ছাত্রীদের নিয়ে আন্দোলন করবেন।