গাংনীতে ঐতিহাসিক বদর দিবস পালন

গাংনী প্রতিনিধি: হিজরতের দ্বিতীয় বছর ১৭ রমজান বদর প্রান্তরে সংঘটিত হয়েছিলো বদর যুদ্ধ। এ যুদ্ধ কুফর-শিরকের মর্মমূলে আঘাত করে বিস্ময়কর বিজয়ের মাধ্যমে সত্যের পতাকা মুক্ত আকাশে তুলে ধরেছিলো। এদিন নিরস্ত্র অল্পসংখ্যক মুসলমানের হাতে কুফরের গর্বিত কপালে পরাজয়ের নীল চিহ্ন অঙ্কিত হয়। মক্কায় কাফেরদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে মদিনায় হিজরত করেছিলেন রাসুল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবিরা। সেখানেও মুসলমানদের নিরাপদে থাকতে দেয়নি কাফেরেরা। পরিস্থিতির ঘূর্ণিপাকে তৈরি হয় যুদ্ধের প্রেক্ষাপট। এ যুদ্ধে লোকবল ও অস্ত্রবলে উন্মত্ত ছিলো কাফের বাহিনী। অপরদিকে মুষ্টিমেয় মুসলমানদের পর্যাপ্ত হাতিয়ার ছিলো না। তবে তাদের ছিলো ইমানি শক্তি। ফলে পৃথিবী সেদিন অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখেছে, আবু জাহেলের যে বাহিনী গুটিকয়েক মুসলমানকে হত্যার নেশায় ছুটে এসেছিলো, যুদ্ধ শুরুর পর স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার ফুরসতও তারা পায়নি।

ইসলামের ইতিহাসে ঐতিহাসিক এই বদর দিবস যযাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে মেহেরপুর গাংনী দারুচ্ছুন্নাত খানকায়ে নেছারিয়া ও হাফেজিয়া মাদরাসা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মাদরাসা প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাজি ওয়াসেক আলী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদরাসা সুপার হাফেজ মো. নাজমুল হক। হাফেজ মাও. মো. রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন ও ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইনামুল হক।