স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জোয়ার্দ্দারপাড়ার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আজম আক্তার পিন্টু আর নেই (ইন্নালিল্লাহে…….রাজেউন)। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন। দীর্ঘদিন ধরে পিন্টু জোয়ার্দ্দার অসুস্থতাজনিত কারণে ভুগছিলেন। তিনি ছিলেন বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রয়াত আক্তার হোসেন জোয়ার্দ্দার ওরফে ভোজন মুক্তার ও প্রয়াত শরীফুন্নেসার ছোট ছেলে। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও মুজিবনগর সরকারের প্রধান উপদেস্টা প্রয়াত ডা. আসহাবুল হক জোয়ার্দ্দারের (ডা. হ্যাবস) শ্যালক ছিলেন পিন্টু জোয়ার্দ্দার। তিনি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের ভাতিজা ও ঢাকার সংরক্ষিত মহিলা আসনের মহিলা এমপি শিরিন নাঈম পুনমের ভাই। পিন্টু জোয়ার্দ্দার (৬৬) ছিলেন ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আট শহীদের সহযোদ্ধা। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ মেয়ে, ২ ভাই ও ৬ বোন, আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর খবর শুনে শনিবার সকালেই তাকে শেষবারের মতো একনজর দেখতে ছুটে যান জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। এ সময় তিনি মরহুমের বাড়িতে অবস্থান করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। শনিবার বাদজোহর চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা চত্বরে পিন্টু জোয়ার্দ্দারের মরদেহে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রের পক্ষে গার্ড অব অনার প্রদান করেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল বিউগলের করুণ সুর বাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খুস্তার জামিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আ.শু বাঙালী, অ্যাড. কাইজার হোসেন জোয়ার্দ্দার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ খান, আবুল কাশেম, বাবলু বিশ্বাস প্রমুখ। গার্ড অব অনার প্রদান শেষে চুয়াডাঙ্গা জান্নাতুল মাওলা কবরস্থানে পিন্টু জোয়ার্দ্দারকে দাফন করা হয়।