ভাজাভুজিতে অনিহা : ঝুঁকছেন ফল-ফলালির দিকে

দামুড়হুদায় রমজানের শুরুতেই ইফতার সামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি

বখতিয়ার হোসেন বকুল: দামুড়হুদায় রমজানের শুরুতেই ইফতার সামগ্রীসহ বেশকিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেঁয়েছে। অন্যান্য বছর বেগুনের মূল্য দ্বিগুন বৃদ্ধি পেলেও এবার ভাজাভুজিতে রোজাদারদের অনিহার কারণে বাড়েনি বেগুনের দাম।

গতকাল রোববার দামুড়হুদার সাপ্তাহিক হাটে কাঁচামাল বিক্রেতার সাথে আলাপ করে জানা গেছে, খিরার দাম দ্বিগুন বেড়েছে। গত হাটে যে খিরা বিক্রি হয়েছে ১০ টাকা কেজি সেই খিরা গতকাল বিক্রি হয়েছে ২০ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজ যা ছিলো তাই অর্থাৎ ৩০ টাকা। কাঁচা মরিচও যা ছিল তাই অর্থাৎ ৪০ টাকা কেজি। এছাড়া বাড়েনি আলু, বেগুনসহ রসুনের দাম।

দামুড়হুদা সাপ্তাহিক হাটে কাঁচামাল বিক্রেতা জয়রামপুরের আমিনুল ইসলাম বলেছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর দু একটি জিনিস ছাড়া সবকিছুর দাম আগের মতোই আছে। শুধু বেড়েছে খিরার দাম। আরেক কাঁচামাল ব্যবসায়ী জয়রামপুরের নাজের আলী বলেছেন, খুচরা হিসেবে দাম না বাড়লেও মোকামে কিছুটা বেড়েছে। যেমন গতহাটের দিনে আড়ত থেকে কাঁচামরিচ কিনেছি ২০-২২ টাকা কেজি দরে। আর গতকাল কিনতে হয়েছে ২৮ টাকা কেজি দরে। গত হাটে পেঁয়াজ কিনেছি ২৩-২৪ টাকা দরে। আর গতকাল কিনতে হয়েছে ২৬ টাকা কেজি। এভাবে কয়েকটি জিনিসের দাম খুচরা বেচাকেনায় দাম বৃদ্ধি হয়নি। কিন্ত আড়তদাররা দাম বাড়িয়েছে। দামুড়হুদা বাজারের বিশিষ্ট মুদি ব্যবসায়ী হাজি শফিকুল ইসলাম ময়না জানান, এ বছর চিড়ে, মুড়ি, চিনি, খেজুর, ছোলাসহ ইফতার সামগ্রীর কয়েকটি জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।  যেমন ৬০-৬২ টাকার চিনি এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ৭৪ টাকা কেজি দরে। ৩৪ টাকার চিড়ে বিক্রি করতে হচ্ছে ৫০-৫২ টাকায়। আর ৪৮ টাকার মুড়ি এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। ৭০ টাকার ছোলা এখন ৮৪ টাকা কেজি। এছাড়া খেজুর যেহেতু একটি আমদানি খাবার। এটা বাইরের দেশ থেকে আসে। খেজুরের দাম প্রতি বছরই হেরফের হয়। তবে গত বছর যে খেজুরগুলো আমরা ১২০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি সেই খেজুর এবার দাম বেড়ে হয়েছে ১৭০ টাকা। তিনি সকল রোজাদারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনারা প্রয়োজনের বেশি কিছু কিনবেন না। তাহলেই সবকিছুর মূল্য স্বাভাবিক থাকবে। দামুড়হুদার বেশকিছু রোজাদার বলেছেন, এবার পচণ্ড গরম। তাই ইফতারিতে বাড়তি ভাজাভুজি যেমন পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ না কিনে ফল-ফলালি দিয়ে ইফতার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পেঁয়ারা, আপেল, আঙ্গুর, কলা সাথে খির খেজুরই যথেষ্ট।