অস্ত্রে মুখে জিম্মি করে সোনার গয়নাসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ডাকাতি

ঝিনাইদহের বেড়াশুলায় দু কৃষকের বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের হানা

 

বাজারগোপালপুর প্রতিনিধি. ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের নবাই সন্ন্যাসীর মন্দিরে নামযজ্ঞ শুনে বাড়িতে ফিরার পথে বাজার গোপালপুর-আটলিয়া সড়কের বালুর মাঠে ছিনাতাইয়ের একদিন পরই ইউনিয়নের চান্দুয়ালি গ্রামের দুই কৃষকের বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হযেছে। ডাকাতদল সোনার গয়না ও নগদ অর্থসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে গেছে। গত রোববার রাত ৩টার দিকে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতির শিকার গৃহকর্তারা জানান, সংঘবদ্ধ ডাকাতদল বাড়িতে প্রবেশ করে নিজেদেরকে পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির লোক বলে পরিচয় দেয়। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাড়ির সদস্যদের ধারালো আস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে চলে যায়।

গ্রামবাসী জানায়, ঝিনাইদহ জেলা সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের চান্দুযালি গ্রামের মাঠপাড়ায় রোববার মধ্যরাতে একদল সংঘবদ্ধ ডাকাতদল হানা দেয়। তারা প্রথমে হাকিম আলীর ছেলে সামসুল হকের বাড়িতে প্রবেশ করে ঘুম থেকে ডেকে তুলে এবং ঘরের ভেতর থেকে কে লাইট জ্বালিয়ে যা তাদের গায়ে লেগেছে লোকটাকে দেখতে চাই। এই অজুহাতে ঘরে প্রবেশ করে এবং কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধারালো অস্ত্রে মুখে জিম্মি করে ঘরের খাটের ওপর বসিয়ে রাখে। তারা রুপার গয়নাও নগদ ২ হাজার টাকাসহ অর্ধ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এরপর রাস্তার ওপারে আছমত আলীর ছেলে আলী আহম্মদের বাড়িতে প্রবেশ করে একইভাবে জিম্মি করে সোনার গয়না ও নগদ ৩০ হাজার টাকাসহ অর্ধ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে।

ডাকাতির শিকার গৃহকর্তা আলী আহম্মদ জানান, রাতে আমি ঘরের বারান্দাই ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত আনুমানিক ৩টা হবে। এমন সময় বাড়ির মধ্যে ১০-১২ জন লোক প্রবেশ করে। নিজেদের পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির লোকজন বলে পরিচয় দিয়ে আমাকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখি জিম্মি করে গয়নাও মহাজনদের নিকট থেকে সুদে নেয়া গরু কেনার জন্য ঘরে রাথা নগদ ৩০ হাজার টাকাসহ প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। অপর গৃহকর্তা সামসুল হক জানান, ঘরের ভেতর থেকে কে লাইট জ্বালিয়ে যা তাদের গায়ে লেগেছে লোকটাকে দেখতে চাই। এই অজুহাতে ঘরে প্রবেশ করে এবং কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধারালো অস্ত্রে মুখে জিম্মি করে ঘরের খাটের ওপর বসিয়ে রাখে। তারা রুপার গয়নাও নগদ ২ হাজার টাকাসহ অর্ধ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। দুই গৃহকর্তা আরো জানান, আমাদের বাড়িতে প্রতি বছরই প্রায় ২-৩ বার ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। তারা আরও জানান, প্রায় ৮ মাস আগে পাশের আজিবর রহমান ও আব্দুল আলিমের বাড়িতে ডাকাতি হয়। এর দীর্ঘদিন পর আবার আমাদের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতির ঘটনা খবর পেয়ে বেড়াশুলা গ্রামের মেম্বার রসুল এবং চান্দুয়ালি গ্রামের মেম্বার আলী হোসেন দুই গৃহকর্তার বাড়িতে যান এবং তাদের নিকট থেকে ডাকাতির বর্ণনা শুনেন। তবে ডাকাতির এই ঘটনা বাজার গোপালপুর পুলিশ ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ সঞ্জয় কুমার মণ্ডলের নিকট জানাতে চাইলে তিনি বলেন, ডাকাতির এই ঘটনায় গৃহকর্তা বা কেউ জানাননি বলে তিনি জানান।