চুয়াডাঙ্গায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ- ক্ষুদে বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার সুযোগ দিতে হবে

 

স্টাফ রিপোর্টার: ৩৮তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গায় তিন দিনব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযু‌ক্তি মনস্ক জা‌তি গঠনে এই মেলা সহায়ক ভূ‌মিকা পালন করবে। তাছাড়া তরুণ প্রজ‌ন্মের মা‌ঝে বিজ্ঞান বিষ‌য়ে আগ্রহ তৈ‌রি কর‌বে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা পর্যায়ের প্রতিভাবান উদ্ভাবকদের উৎসাহিত করা ও সহায়তা দেয়ার লক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান ছাড়া আমরা এক ধাপও চলতে পারি না। একমাত্র বিজ্ঞানচর্চাই আমাদের কুসংস্কারমুক্ত জাতি গঠনে সহায়তা করবে। জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ নিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যায়। এক্ষেত্রে ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের আগ্রহটাই যেন একটু বেশি মাত্রায় থাকে। আমাদেরকে ক্ষুদে বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকদের এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার সুযোগ করে দিতে হবে। রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক পর্যায়ে কিভাবে তারা শেষপর্যন্ত বিজ্ঞানী বা উদ্ভাবক হিসেবে নিজেকে নির্মাণ করতে পারে তা একটা ছক থাকা দরকার। এই ছক থাকলে যেটা হবে স্বপ্নগুলো বৃথা যাবে না। শিশুকিশোরদেও তীব্র আগ্রহ দেখলে বোঝা যায়, তারা কিছু একটা করতে চায়। নতুন কিছু। এই নতুন কিছু করার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতাও প্রয়োজন আছে বৈকি। সভ্যতা ও সমৃদ্ধি মানুষের অবিস্মরণীয় সাফল্য যার প্রধান অংশ বিজ্ঞান। সীমাহীন বাধাবিপওি অতিক্রম করে আপন প্রতিভা বিকাশের সাধনায় প্রকৃতিকে জয় করার কৌশল যেদিন আয়ত্ত করেছে,সেদিন থেকেই বিজ্ঞানের জয়যাত্রা। যুগান্তকারী পরিবর্তনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গুরুত্ব মানব কল্যাণে অপরিসীম। অজানাকে জানার অশেষ সাধনার ফল বিজ্ঞান যার অর্থ বিশেষ জ্ঞান। কেবল গতিশীল সময়ের প্রয়োজনে বিজ্ঞান নয়, জাতীয় শিল্পোন্নয়নে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে এর গুরুত্ব ব্যাপক। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এ প্রদর্শনী সংস্কারমুক্ত সৃষ্টি বয়ে আনে। জাতীয় জীবনে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা মেলার আয়োজনকে শুধু সৃষ্টিশীল নয় এ প্রজন্মের গবেষকদের তুলে নিয়ে আসে। মন ও মেধা অনুসন্ধানী হওয়ার সাথে নতুনদের মনের সুপ্ত প্রতিভা জাগরণে বিজ্ঞান প্রদর্শনী সাফল্যময় দিক। দেশের তরুণ সমাজকে বিজ্ঞানমুখী করা, তাদের উৎসাহ বৃদ্ধি করে মেধার যথার্থ স্বীকৃতি দিয়ে নতুন নতুন আবিষ্কারে উদ্বুদ্ধ করাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্দেশ্য। প্রযু‌ক্তির মহাসড়‌কে চুয়াডাঙ্গা আরও পথ এগিয়ে যা‌বে এমনই প্রত্যাশা।

অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরার সভাপতিত্বে বিশেষ অথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কারুজ্জামান, সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ। পরে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ অতিথিদের নিয়ে স্টল ঘুরে দেখেন। মেলায় ৩০টি স্টলে ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবনী প্রদর্শিত হচ্ছে। মেলা চলবে প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।