চুয়াডাঙ্গার কুন্দিপুরে ঘাসকাটা নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড : ভাগনের অপরাধে মামা আটক : আহত ১

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদরের কুন্দিপুর ভিটের মাঠে ভুরো কাটা নিয়ে একজনকে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। প্রতিশোধ নিতে নেহালপুর গ্রামের একজনকে ধরে এনে আটকে রেখেছে কুন্দিপুর গ্রামের লোকজন। নির্যাতনের শিকার আহত সোহেলকে উদ্ধার করে নেয়া হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে।

জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের নেহালপুর গ্রামের ইউসুপ ভুরোর চাষ করেন কুন্দিপুর গ্রামসংলগ্ন ভিটের মাঠে। প্রায় সময় ওই ভুরো কে বা কারা কেটে নিয়ে যায়। অভিযোগ ওঠে গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কন্দিপুর গ্রামের তেতুলের ছেলে সোহেল (১৮) চুরি করে ওই ভুরো কাটছিলো। এ সময় ইউসুপের ছেলে বিশাল ও নিশানসহ কয়েকজন সোহেলকে ধরে বেধড়ক মারপিট করে মাঠেই বেঁধে রাখে। এ খবর কুন্দিপুর গ্রামে পৌঁছুলে গ্রাম থেকে ২০-২৫ জন লোক গিয়ে সোহেলকে উর্দ্ধার করে এবং ঘটনাস্থলে থাকা নেহালপুর গ্রামের ইয়াকুবের ছেলে নশকর আলীকে (৪০) ধরে গ্রামে নিয়ে আসে। নশকর আলী নিশান ও বিশালের মামা। পরবর্তীতে হিজলগাড়ি ক্যাম্প পুলিশ আটককৃত নশকরকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে কুন্দিপুর গ্রামবাসী এবং পুলিশের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় নশকরকে রেখে পুলিশ গ্রাম থেকে চলে আসে। এদিকে আহত সোহেলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয় হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নশকর কুন্দিপুর গ্রামে আটক ছিলো। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ আইনি আশ্রয় নেয়ার প্রক্রিয়া ছালাচ্ছিলো বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। হিজলগাড়ি ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই আমিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা জানিয়ে বলেন, বিষয়টি আলী হোসেন জোয়ার্দ্দার চেয়ারম্যানকে মীমাংসা করার জন্য বলেছি।