কিউইদের কাঁপিয়ে দিয়ে হারলো আয়ারল্যান্ড

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: স্বাগতিকদের ইনিংস ২০ ওভারে গড়াতেই আকাশ ভেঙে নেমে আসে বৃষ্টি। বন্ধ হয়ে যায় খেলা। সবাই যখন আরেকটি পরিত্যক্ত ম্যাচের আশঙ্কায়; তখনই প্রকৃতিদেবী প্রসন্ন হলেন। প্রায় দ্বিতীয় সারির নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে কি লড়াইটাই না করলো আইসিসির সহযোগী সদস্য আয়ারল্যান্ড! একপ্রান্ত আগলে রেখে কী লড়াইটাই না করলেন ১৩১ বলে ১০৯ রান করা নেইল ওব্রেইন! একটা পর্যায়ে মনে হয়েছিলো, আইরিশরা হয়তো জিতেই যাচ্ছে। কিন্ত সেটা আর হলো না। ৫১ রানে ম্যাচ জিতে নিলো নিউজিল্যান্ড। কিউইদের দেয়া ২৯০ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৯ রানেই প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ১২ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক পোর্টারফিল্ড। ৭ রানের ব্যবধানে স্টারলিংয়ের বিদায়ে চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। তবে তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রানের জুটি গড়ে বিপদ সামাল দেন ও’ব্রেইন এবং ব্যালব্রেইনি। বৃষ্টি নামলেও ওভার কর্তন করতে হয়নি। এরপর  পঞ্চম উইকেটে ৭৫ রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন ও’ব্রেইন এবং গ্যারি উইলসন। উইলসন ৩০ রানে আউট হলেও দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকান ও’ব্রেইন। তার ১০৯ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিলো ৯টি চার এবং ৫টি ছক্কায় শেষ পর্যন্ত ২৩৮ রানে শেষ হয় আইরিশদের ইনিংস। কিউইদের হয়ে মিচেল স্যান্টনার ৫ উইকেট নেন। এর আগে দ্বিতীয় ম্যাচের শুরুতে কাঁপিয়ে দিয়েও শেষরক্ষা করতে পারেনি আইরিশরা। ব্যাট করতে নেমে বেশ ভালোই এগোচ্ছিলো কিউইরা। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতন! বিনা উইকেটে ৫৩ থেকে ২ রান যোগ করতেই নেই ২ উইকেট! ২ রানের ব্যবধানে বিদায় নেন লুক রঞ্চি (৩৭) এবং টম ল্যাথাম (১৫)। এ সময় রস টেইলর আর জর্জ ওয়ার্কার মিলে চতুর্থ উইকেটে ৮৪ রানের জুটি গড়ে বিপদ সামল দেন।

দলীয় ১৩৯ রানে ৬০ বলে ৫২ রান করে রস টেইলর আউট হওয়ায় এই জুটি ভাঙে। হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করে আউট হন ওয়ার্কার (৫০)। তার বিদায়ের পর ৬৩ বলে ৭৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন নেইল ব্রুম। এটাই কিউইদের ইনিংসের সর্বোচ্চ। ব্রুমের ইনিংসটি ৯টি চার এবং ১টি ছক্কায় সাজানো। এছাড়া জেমস নিশামের ৩০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রান তোলে কিউইরা।