কালীগঞ্জে সালিসে সেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা ঘটনায় মামলা

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ছাগলে পাট খাওয়াকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ওহিদুল ইসলামকে (৩৫) হত্যার ঘটনায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত ওহিদুল ইসলামের স্ত্রী রাশিদা খাতুন বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেছেন। নিহত ওহিদুল ইসলাম উপজেলার খামারমুন্দিয়া গ্রামের গোলাপ শেখের ছেলে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে খামারমুন্দিয়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছাগল একই গ্রামের শাজাহানের ক্ষেতের পাট খায়। এ নিয়ে দু পরিবারের মাঝে গোলযোগ শুরু হয়। এর জের ধরে শাজাহানের লোকজন দুপুরে বিল্লালের ছেলে দিলদারকে মারপিট করে। এ ঘটনা নিয়ে বিল্লাল এলাকার চেয়ারম্যান অপুর কাছে বিচার দাবি করলে চেয়ারম্যান রাত ১০টার দিকে তার স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে সালিসের সময় দেন। রাতে সালিস সভা চলাকালে শাজাহানের লোকজন ওহিদুল ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় তারা ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেনসহ আরও ৪ জনকে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ওহিদুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আহতদের মধ্যে ইসমাইলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিহত ওহিদুল ইসলামের ছেলে জীবন (১৪) দুলালমুন্দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণিতে এবং ছোট ছেলে মোহন দুলালমুন্দিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। পিতা সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হওয়ার পর ওহিদুলের দুই সন্তান বর্তমানে অসহায় হয়ে পড়েছে।

রায়গ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু জানান, নিহত ওহিদুল ইসলাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি আরও জানান, যারা ওহিদুলকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তারা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই লিটন কুমার বিশ্বাস জানান, ওহিদুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনায় শহিদুল ইসলাম ও সাদ্দাম হোসেন নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে।