আলমডাঙ্গায় প্রতিবন্ধী মেয়ে জন্ম দেয়ায় মা বাড়ি থেকে বিতাড়িত : দু মাসের মাথায় প্রতিবন্ধী শিশুকে হত্যার অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রতিবন্ধী কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ার কারণে স্বামীর বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন গৃহবধূ ডলি খাতুন। এর দু মাসের মাথায় প্রতিবন্ধী সেই শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে আলমডাঙ্গার ভেদামারী গ্রাম থেকে শিশু মরিয়ম খাতুনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুর মা ডলির অভিযোগ তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার পর তার মেয়ে মরিয়মকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিবেশীরা বলেছে, মরিয়মকে হত্যা করা না হলেও অবহেলার শিকার হয়ে সে মারা গিয়ে থাকতে পারে।

এলাকাসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভেদামারী গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আবদুল খালেক প্রায় ১৪ বছর আগে পার্শ্ববর্তী জহুরুলনগর গ্রামের নবিছদ্দিনের মেয়ে ডলি খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ে তিন বছর পর শারীরিক প্রতিবন্ধী কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। এরপর থেকেই নানাভাবে নির্যাতন করা হয় ডলিকে। স্বামী আবদুল খালেক এতোদিন মালয়েশিয়া থাকার সুবাদে মেয়ে মরিয়মকে (১১) সাথে নিয়ে স্বামীর ভিটায় ছিলেন ডলি। মাস দুয়েক আগে খালেক বিদেশ থেকে ফিরে ডলিকে তাড়িয়ে দেন। পরে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করে স্ত্রীসহ মালয়েশিয়া চলে যান। ফলে প্রতিবন্ধী মরিয়ম বড় একা হয়ে যায়। সে বিছানায় পড়ে থাকে অযত্ন অবহেলায়। এর মধ্যে রোববার সকাল ৮টার দিকে মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ডলি ভেদামারী গ্রামে যান। এ সময় আকস্মিক মেয়ের মৃত্যুর ব্যাপারে জানতে চাইলে তাকে মারধর করে শ্বশুরপক্ষের লোকজন তাড়িয়ে দেয়। তিনি আলমডাঙ্গা থানায় গিয়ে মেয়েকে হত্যার অভিযোগ আনেন। তিনি অভিযোগ করেন- দাদা হাবিবুর রহমান, দাদি রোকেয়া বেগম ও চাচি সাবিনা খাতুন পরিকল্পিতভাবে মরিয়মকে হত্যা করেছে। অভিযুক্ত চাচি সাবিনা বলেন, রাতে মরিয়ম বিছানায় কখন মারা গেছে আমরা টের পাইনি। সকালে পুলিশে খবর দেয়া হয়। আলমডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) লুৎফুল কবীর জানান, এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যা প্রমাণ হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।