ঝিনাইদহের সাধুহাটি ইউনিয়নের ৪ বিলে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন : অল্প বৃষ্টিতে ৫-৬শ বিঘা জমির ধান পনিতে ভাসছে

 

গিয়াস উদ্দীন সেতু: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের রাঙ্গেরপোতা, মাটিকুমড়া, সাধুহাটি ও সাইভাঙা বিলে প্রভাবশালীরা অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করাই ৫-৬শ বিঘা জমির ধান পানিতে ভাসছে। সম্প্রতি ২ দিনের বৃষ্টিতে এসব বিলের সব ধান তলিয়ে গেছে বলে কৃষকরা জানান। এতে ওই প্রভাবশালীদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কৃষকরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষেতের পর ক্ষেত পানিতে ডুবে আছে আবার কোথাও ধান গাছগুলো গলা ভাসিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এমন অবস্থা থাকলে ক্ষেতের ধান পচে যাবে। আর যেগুলো পাকা ধান সেগুলো কলিয়ে যাবে।

কৃষক বসির উদ্দীন জানান, নুন আনতে পান্তা ফুরানো কৃষকদের বুকচাপড়িয়ে দু চোখের পানি ফেলাছাড়া আর কিছু করার নেই। এই এলাকার কৃষকের প্রধান ফসল ধান। কৃষক হছেন আলী জানান, যুগযুগ ধরে এই মাঠের কামাই আমরা খেয়ে বেঁচে আছি। এলাকার সিংগহভাগ খাদ্যের ঘাটতি পূরণ হয় এই বিল থেকে। কিন্ত এই মাঠ এখন পানির নিচে তলিয়ে আছে। এবার অমাদের কী হবে। প্রভাবশালীরা অপরিকল্পীতভাবে পুকুর খনন করে  আসছে। ফলে ২ দিনের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ৫ থেকে ৬শ বিঘা জমি ধান এখন পানির নিচে তলিয়ে আছে।

মাটি কুমরা ওয়ার্ড মেম্বার রুহুল আমিন জানান, এই বিলের পানি রাঙ্গেপোতা খাল দিয়ে মামুনশের ব্রিজ হয়ে চিত্র নদিতে গিয়ে পড়তো। বর্তমানে প্রভাবশলীরা পুকুর খনন করায় খালের মাথা বন্ধ হয়ে ৫-৬শ বিঘা জমির ধান নষ্ট হচ্ছে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১ নং সাধুহাটি ইউপি চেয়ারম্যান কাজি নাজির উদ্দীন জানান, জলাবদ্ধাতার কথা শুনে মাঠ পরিদর্শন করেছি। ৫-৬ শ বিঘা জমির ধান জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে পানিতে ভাসছে। এর প্রধান কারণ অপরিকল্পীত পুকুর খনন। জেলা প্রশাসন প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।