জীবননগর থানার দারগা হাবিবুরের বিরুদ্ধে স্বামী-স্ত্রীকে পিটিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ

জীবননগর ব্যুরো: তদন্তের নামে জীবননগর থানার এক দারোগার বিরুদ্ধে হতদরিদ্র পরিবারের স্বামী-স্ত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশের পক্ষ হতে মারপিট নয়, আত্মরক্ষা করতেই ওই পরিবারের পুরুষ সদস্যকে মারপিট করা হয়েছে বলে স্বীকার করা হলেও তার স্ত্রীকে মারপিট করার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে মতামত জানতে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে জীবননগর উপজেলায় কর্মরত এক সাংবাদিক মোবাইল করলে তার সাথে অসৌজনমূলক আচারণ করা হয়েছে বলে সাংবাদিক আতিয়ার রহমান অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় সাংবাদিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

জীবননগর পৌর এলাকার লক্ষ্মীপুর মিলপাড়ার মৃত হায়দার বেপারির ছেলে ইয়াসিন বেপারি (৪৬) অভিযোগ করে বলেন, তার বাড়িতে গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে মোটরসাইকেলে করে দুজন লোক আসে। তারা নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দেয়। বাড়িতে থাকা আমার স্ত্রীকে তারা বলেন মোজার বাড়ি থেকে যে ছাগল ও হাঁস ধরে এনেছিস তা কোথায় বের কর। আমরা বলি আমাদের কাছে কারো হাঁস-ছাগল নেই। এ সময় দারোগা হাবিবুর দারগা আমাকে গালিগালাজ করতে থাকে ও এক পর্যায়ে আমাকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। আমি এই সময় ওই দারগার পা জড়িয়ে ধরে বলি আমাকে আর মেরেন না। আমার কোনো দোষ নেই। এ্ই সময় আমার স্ত্রী বাধা দিলে তারা তাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে।

নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ আয়শা খাতুন বলেন, লক্ষ্মীপুরের মোজার নিকট পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ আছে ঠিক। তবে তাদের বাড়ি থেকে হাঁস-ছাগল ধরে আনিনি। পুলিশের নির্যাতনে আহত স্বামী-স্ত্রী চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাব-ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ঘটনার ব্যাপারে তদন্তকালে ইয়াসিন একটি কাঁচি নিয়ে থাকা কনস্টেবলকে মারতে ধেয়ে আসে। তখন আমি তার দিকে এগিয়ে গিয়ে হাতের কাঁচি কেড়ে নিই এবং দুই একটি থাপ্পড় দিই। এটি আত্মরক্ষার জন্যই করা হয়েছে। তা ছাড়া আয়শা খাতুনকে মারপিট করার অভিযোগ সত্য নয়।

এ ঘটনার ব্যাপারে সাংবাদিক আতিয়ার রহমান পুলিশ সুপার মো. নিজাম উদ্দিনের নিকট মোবাইলফোনে জানতে চাইলে তিনি তার সাথে অসৌজন্যমূলক আচারণ করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকদের মধ্যে মিশ্র পতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।