সান্ডারল্যান্ডকে হারিয়ে শীর্ষ চারের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলো ইউনাইটেড

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: দশ জনের সান্ডারল্যান্ডকে রোববার ৩-০ গোলে পরাজিত করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে শীর্ষ চারের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের মরসুমের ২৮তম গোল সফরকারীদের স্টেডিয়াম অব লাইটে এগিয়ে দিয়েছিলো। সেবাস্টিয়ান লারসনের লাল কার্ডের পরে হেনরিখ মাখিটারিয়ানের গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করে। ম্যাচ শুরুর আগে কোচ হোসে মরিনহো মূল একাদশে দুটি বিস্ময় এনেছিলেন। গত সপ্তাহে সমর্থকদের রোষানলে পড়লেও লুক শ’কে ঠিকই বিবেচনায় রেখেছিলেন মরিনহো। এছাড়া গোলবারে ইনজুরি আক্রান্ত ডেভিড ডি গিয়ার পরিবর্তে কাল মাঠে নেমেছিলেন সার্জিও রোমেরো। স্বাগতিক সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকে খুব একটা নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি ইউনাইটেড। মাত্র পাঁচটি লীগ ম্যাচে জয়ী দলের বিপক্ষে এমন শুরু কেউই আশা করেনি। তবে ইব্রাহিমোভিচ ৩০ মিনিটেই দুর্দান্ত ভাবে দলকে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মাখিটারিয়ানের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে সফরকারীরা। এর আগে এ্যান্ডরা হেরেরাকে বাজেভাবে ট্যাকেলের কারণে লারসনকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ত্যাগ করতে হয়। এরপর মার্কোস রাশফোর্ড ম্যাচের শেষের দিকে দলের পক্ষে তৃতীয় গোলটি করেন। এই জয়ে ম্যানচেস্টার সিটির থেকে চার পয়েন্ট পিছিয়ে পঞ্চম স্থানে থাকলো ইউনাইটেড। যদিও সিটির থেকে এক ম্যাচ কম খেলেছে মরিনহোর শিষ্যরা। এখন তাদের সামনে লক্ষ্য বৃহস্পতিবার ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে অ্যান্ডারলেখের বিপক্ষে প্রথম লেগের ম্যাচ। প্রিমিয়ার লিগের তলানিতে থাকা ডেভিড ময়েসের সান্ডারল্যান্ড এখনো রেলিগেশন জোন থেকে ১০ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে। হাতে থাকা আট ম্যাচ থেকে তারা কতটুকু নিজেদের টেনে তুলতে পারবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। ইউনাইটেডের সাথে সপ্তাহের শুরুতে নতুনভাবে চুক্তি করা জেসে লিনগার্ড ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণের সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন। ২০ গজ দুর থেকে তার জোরালো শট স্বাগতিক গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড রক্ষা করেন। কিন্তু ম্যাচের সময় যত গড়িয়েছে সান্ডারল্যান্ড ততই নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে। ব্রায়ান ওভিডো ও লি ক্যাটারমোলের শট সরাসরি রোমেরোর হাতে ধরা পড়ে। লিনগার্ডের আরেকটি শট পিকফোর্ড একহাতে রক্ষা করেন। কিন্তু ইব্রার শট আটকাতে তরুন গোলরক্ষক আর কোন সুযোগ পাননি। হেরেরার পাস থেকে গোল এরিয়ার মধ্য থেকে গোলবারের ডানদিকের কর্ণার দিয়ে সরাসি বল জালে প্রবেশ করালে ইউনাইটেড এগিয়ে যায়। ভিক্টর আনিশেব সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু রোমেরো দারুনভাবে রক্ষা করেন। বিরতির দুই মিনিট আগে এ্যান্ডার হেরেরাকে ফাউলের অপরাধে লারসন সরাসরি লাল কার্ড পেলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় সান্ডারল্যান্ড। বিরতির পরপরই শ’র পাস থেকে মাখিটারিয়ান ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ৮৯ মিনিটে বদলী খেলোয়াড় রাশফোর্ড গোলের ব্যবধান বাড়ান। সেপ্টেম্বরের পরে এটি ছিলো রাশফোর্ডের প্রথম গোল।