জীবননগরে সড়কে ছিনতাইয়ের পর একতারপুরে ৫ বাড়িতে গণডাকাতি

 

মাদরাসা ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় আতঙ্কিত গ্রামবাসী

জীবননগর ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর-খয়েরহুদা গ্রামীণ সড়কের আলোচিত আমতলা মাঠে সোমবার রাতে গণছিনতাইয়ের ঘটনার পর ফেরার পথে রাত ১২টার দিকে একতারপুর গ্রামের ৫ বাড়িতে গণডাকাতি করে ওই দুর্বৃত্তরা। এখানে ডাকাতিকালে প্রতিরোধের মুখে পলায়নকালে ডাকাতদল এক মাদরাসা ছাত্রীকে (১৪) অপহরণ করে নিয়ে যায়। রাত দেড়টার দিকে তাকে সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়কের দেহাটি পুলিশ বক্সের সন্নিকটের একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হলেও গ্রামবাসীদের মধ্যে চরমভাবে ডাকাতি আতঙ্ক পেয়ে বসেছে।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহসহ জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ডাকাতির শিকার পরিবারের নিকট থেকে শুনেছেন ডাকাতির ঘটনা।

এলাকাবাসী জানায়, রাত আনুমানিক সোয়া ৮টার দিকে ছিনতাইকারীচক্র খয়েরহুদা সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে খয়েরহুদা গ্রামের লিপন, জমির হোসেন, রাশেদ ওরফে খোকা, সেন্টু, আলম সরদার, সজিব, নাজিম উদ্দিন ও রফিকুল ইসলামসহ প্রায় ২০ জনের নিকট থেকে মোবাইলফোন ও টাকা লুট করে। এখান থেকে পলায়নকালে চক্রটি রাত আনুমানিক ১২টার দিকে একতারপুর গ্রামের আয়ুব আলী, জিন্টু, সুজন, সলেমান ও রাশেদা খাতুনের বাড়িতে গণডাকাতি করে। ডাকাতদল ৫ বাড়ি থেকে সোনার কানের দুল ও হার ছিনিয়ে নেয়। ডাকাতিকালে প্রতিরোধের মুখে পলায়নকালে ডাকাতদল গ্রামের এক দিন মজুরের মাদরাসার ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এসময় খবর পেয়ে উথলী বিশেষ ক্যাম্পের বিজিবি সদস্য ও জীবননগর থানা পুলিশ গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে অপহৃত কিশোরীর উদ্ধার অভিযানে নামে। রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। থানার অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক জানান, খবর পেয়ে তিনি রাতেই ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এবং অভিযানে নামেন।

ডাকাতির শিকার গ্রামবাসী জানায়, ডাকাতদল ৫ বাড়ি থেকে ৩ লক্ষাধিক টাকা ও  গৃহবধূদের শরীর থেকে সোনার কানের দুল ও চেন ডাকাতি করে। ডাকাতির সময় গ্রামবাসীর প্রতিরোধের মুখে ডাকাতদল গ্রামের এক দিন মজুরের মাদরাসায় ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। রাতেই খবর পেয়ে উথলী বিশেষ ক্যাম্পের বিজিবি সদস্য ও জীবননগর থানা পুলিশ গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে অপহৃত কিশোরীর উদ্ধার অভিযানে নামে। রাত ২টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

এএসপি (সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ গতকাল মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি সাংবাদিকদের নিকট ডাকাতি ও কিশোরীকে অপহরণের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, কোনো কুচক্রি মহল এ ঘটনা ঘটিয়েছে কি-না তা তদন্ত করে দেখাসহ দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার অভিযানে রয়েছে পুলিশ।