রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইলেন মুফতি হান্নান

স্টাফ রিপোর্টার: ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর হামলা মামলায় দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন জঙ্গি নেতা মুফতি আবদুল হান্নান। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. মনির হোসেনের মধ্যমে তিনি প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। ডেপুটি জেলার মনির হোসেন নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি শরীফ শাহেদুল বিপুল এখনও প্রাণভিক্ষা চাননি। তিনিও প্রাণভিক্ষা চাইবেন। বিপুলের প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। রিভিউ খারিজ এবং মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় গত ২২ মার্চ মুফতি হান্নানকে পড়ে শোনানো হয়।

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মিজানুর রহমান জানান, ২২ মার্চ থেকে মুফতি হান্নানের মার্সি পিটিশনের দিন গণনা শুরু হয়েছে। তার আচরণ, খাওয়া-দাওয়া স্বাভাবিক। এর আগে ১৯ মার্চ রোববার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তিন জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে সর্বোচ্চ আদালতের দেয়া রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন (রিভিউ) খারিজ করে দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি হান্নান ও ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুল কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার আর অপর আসামি দেলোয়ার হোসেন রিপন সিলেট জেলা কারাগারে রয়েছেন। রিপন ইতিমধ্যে প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন। সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে ২০০৪ সালের ২১ মে আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন। ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত পাঁচ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। প্রায় সাত বছর পর গত বছরের ৬ জানুয়ারি এ মামলায় হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। আসামিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন আদালত। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। পরে আপিল ও রিভিউ খারিজ হয়ে গেলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনাই ছিলো তাদের সর্বশেষ আইনি আশ্রয়।