চট্টগ্রামের দুই বাড়িতে আড়াই ঘণ্টা তল্লাশি

 

স্টাফ রিপোর্টার: জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে নগরীর আকবর শাহ থানার কর্নেল হাট সিডিএ আবাসিক এলাকার এক নাম্বার সড়কে অবস্থিত একটি বাড়ি ও উত্তর কাট্টলি এলাকার ইশান মহাজন সড়কে অবস্থিত আরও একটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। তবে আড়াই ঘণ্টার অভিযানে জঙ্গি বা বিস্ফোরকজাতীয় কিছু পাওয়া যায়নি। গতকাল সোমবার বিকাল পৌনে চারটা থেকে দুটি বাড়ি ঘিরে এই তল্লাশি শুরু করে পুলিশের বিভিন্ন টিম। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় তারা তল্লাশি শেষ করেন। এর মধ্যে একটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে সিডিএ আবাসিক এলাকার প্রভাতি শিক্ষা নিকেতনের পাশে অবস্থিত এবং অন্য বাড়িটি মহাসড়ক থেকে দুই কিলোমিটার দূরে উত্তর কাট্টলি এলাকার ইশান মহাজন সড়কে অবস্থিত।

পুলিশ সূত্র জানায়, ইশান মহাজন সড়কে অবস্থিত পাঁচতলা বাড়িটি কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক জিএম ঋশি সাহার মালিকানাধীন। সূত্রমতে, সীতাকুণ্ডের নামারবাজার এলাকার সাধনকুটির নামে বাড়ির জঙ্গি আস্তানা থেকে আটক দুই জঙ্গির মধ্যে মহিলা জঙ্গি পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, আকবর শাহ থানা এলাকায় তাদের আরও সঙ্গীরা অবস্থান করছেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে এই তল্লাশি চালায় পুলিশ। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) নাজমুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এখানে দুটি জঙ্গি আস্তানা আছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালাতে এসেছি। আমরা তল্লাশি চালিয়েছি। তবে এ রকম কিছু পাওয়া যায়নি।

এর আগে বুধবার দুপুরে সীতাকুণ্ডু পৌরসভার লামারবাজার আমিরাবাদের সাধন কুটির থেকে এক নারীসহ দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কলেজ রোডের চৌধুরীপাড়ার প্রেমতলা এলাকার ছায়ানীড় ভবনের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। বুধবার বিকেল তিনটা থেকে গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ছায়ানীড় ভবনে অপারেশন অ্যাসল্ট-১৬ চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০ ঘণ্টার এ অভিযানে ২০ জন জিম্মিকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া চার জঙ্গিসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযানে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।