আশকোনায় র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার ব্যক্তির মৃত্যু

 

স্টাফ রিপোর্টার: র‍্যাব সদর দফতরের ফোর্সেস ব্যারাকে আত্মঘাতী হামলার পর সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বিমানবন্দর এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে গতকাল শুক্রবার বিকেলেই গ্রেফতার করে র‍্যাব-১। গতকাল শনিবার তার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য নেয়া হয়। মৃত ওই ব্যক্তির নাম হানিফ মৃধা। তার বাড়ি বরগুনার আমতলীর আমরাগাছিয়ায়।

বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এজাজ শফী গতকাল শনিবার বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে মুন মুন কাবাবের পাশের জঙ্গল থেকে গতকাল শুক্রবার বিকেল সোয়া চারটায় সন্দেহভাজন হিসেবে হানিফকে গ্রেফতার করেন র‍্যাব-১ এর সদস্যরা। এর ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট পর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে হানিফ মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসক মৃত্যু সনদে উল্লেখ করেছেন। এ ঘটনায় র‍্যাব রাত ১টা ৩৫ মিনিটে বিমানবন্দর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে। ওই সময়ই তারা বিষয়টি জানতে পারেন। শনিবার তার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া বলেন, ঢাকায় ওই ব্যক্তি কি করতেন বা কোথায় থাকতেন সে বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হানিফ মৃধাকে পাঁচটার দিকে বিমানবন্দর থানা-পুলিশের একটি গাড়িতে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় সাথে র‍্যাবের চারটি গাড়ি ছিলো।

এ ব্যাপারে র‍্যাব-১’র লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, র‍্যাব সদর দফতরের ফোর্সেস ব্যারাকে আত্মঘাতী হামলার দিন মুন মুন কাবাবের পাশের কয়েকজন দাঁড়িয়ে ছিলো। র‍্যাবের গাড়ি দেখে পালানোর সময় সন্দেহভাজন হিসেবে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। র‍্যাব অফিসে নেয়ার পরই বুকে ব্যথা শুরু হলে তাঁকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

গতকাল শুক্রবার বেলা একটার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অদূরে র‍্যাব সদর দফতরের ফোর্সেস ব্যারাকে আত্মঘাতী হামলা হয়। এতে র‍্যাবের দুই সদস্য আহত হন। হামলার পরে গতকাল শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে দেশের সব কারাগার, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়।