কর্মসংস্থানের জোগান পেতে প্রয়োজন উদ্যোক্তা বান্ধব পরিবেশ

শিক্ষা কেন? শুধুই কি চাকরির জন্য? অবশ্যই নয়। শিক্ষা যখন গড়ার জন্য, তখন শুধু চাকরির জন্য হবে কেন? উদ্যোক্তা হতে হবে। চরম বাস্তব এবং প্রজন্মের জন্য প্রয়োজনীয় এই আহ্বানই জানিযেছেন কেন্দ্রীয় বাংকের গর্ভনর। তিনি বলেছেন, ‘দেশকে আর্থিকভাবে এগিয়ে নিতে প্রজন্মকে শিক্ষাজীবন শেষ করে উদ্যোক্তা হতে হবে। যদিও উদ্যোক্তা বান্ধব পরিবেশ এখনও গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি।
পুরাতন বা সনাতনী ভাবনা বা ধারণা অনুসানে বন্দি মানে বর্তমান এবং অনাগত ভবিষ্যতের কাছে পিছিয়ে থাকা। জনবহুল বাংলাদেশের জনগণ তখনই বোঝা নয়, যখন জনগণকে সুশিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিকে রূপান্তর করা সম্ভব হবে। সে লক্ষ্যেই নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যত উজ্জ্বল যে অবসম্ভাবি তা এখন আর কেউ অস্বীকার করতে পারেন না। কারণ এই বিশাল জনগোষ্ঠীর বড় অংশই তরণ। সরকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ সংক্রান্ত এসএমই ফাউন্ডেশন গড়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ঋণের জন্য সরকারের রয়েছে বিশেষ কর্মসূচি। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংক্রান্ত উদ্যোগের জন্যও রয়েছে পৃথক সহায়তা কর্মসূচি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর জানিয়েছেন, উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। গ্রামাঞ্চলে ব্যাংকের শাখা সম্প্রসারণের জন্য সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এ উদ্যোগ নিশ্চয় পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোতেও কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে সহায়ক হবে। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরে।
বৃহৎ শিল্পের জন্য যারা ঋণ নেয়, তাদের তুলনায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে খেলাপি হওয়ার প্রবণতা কম। তবে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণপ্রাপ্তির পথ প্রশস্ত হলেও ঋণ প্রদানে জামানতের পদ্ধতি পরিবর্তন প্রয়োজন। শুধু আহ্বান নয়, উদ্যোক্তাবান্ধব পরিবেশ গড়তে অবশ্যই ঋণ প্রদানের জামানত শুধু সম্পদ নয়, উচ্চশিক্ষার সনদকেও গুরুত্ব দিতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে স্বচ্ছতা।