টাকা চেয়ে না পেয়ে পত্রিকায় ফলাও করে ভূমিদস্যূ বানানোর পাঁয়তারা
স্টাফ রিপোর্টার: এসএসসি পাস। কিন্তু এইচএসসি পাসের ভুয়া সনদপত্র দিয়ে পত্রিকার ছাড়পত্র নেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত রুহুল আমিন রতনসহ তার ৪ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। চাঁদা চেয়ে না পেয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতপরশু রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ব্যবসায়ী নওশাদ আলী বাদী হয়ে মামলাটি রুজু করেন। এর আগে একই পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার এক যুবক টাকা চেয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে। পিটুনির শিকার হয়। তার বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজির মামলা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের মুক্তিপাড়ার মৃত সাহেব জানের ছেলে নওশাদ আলী ভি.জে স্কুলের সামনের মার্কেটের মেশিনারিজ ব্যবসায়ী। তিনি বাদী হয়ে দায়ের করা এজাহারে বলেছেন, রুহুল আমিন রতন, স্টেডিয়ামপাড়ার অপূর্ব, হাজরাহাটির ইমরান জোয়ার্দ্দার ও দামুড়হুদা দশমীপাড়ার বিপ্লব মজুমদার গত ৮ মার্চ বিকেলে চুয়াডাঙ্গা ভি.জে স্কুলের সামনের দোকানে আসে। রুহুল আমিন রতন দৈনিক আমাদের সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক বলে পরিচয় দিয়ে বলে এরা আমার পত্রিকার সাংবাদিক। আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। ১৫ হাজার টাকা না দিলে অভিযোগ পত্রিকায় লেখা হবে। বানোয়াট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দাবিকৃত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা পরদিন ৯ মার্চ বড় বড় অক্ষরে ‘চুয়াডাঙ্গা মুক্তিপাড়ার ভূমিদস্যু নওশাদের জমি জালিয়াতির ষড়যন্ত্র ফাঁস’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
রুহুল আমিন রতনের বিরুদ্ধে ইতঃপূর্বেও নানা অভিযোগ উত্থাপন হয়েছে। সে অভিযোগ শেষ পর্যন্ত মামলায় না গড়ালেও পত্রিকার ডিক্লারেশন নেয়ার সময় জেলা প্রশাসনের দফতরে পেশকৃত এইচএসসি পরীক্ষার সনদ জাল বলে উত্থাপিত অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই তদন্তাধীন। এছাড়াও পত্রিকার মালিকানা হস্তান্তরসহ বিভিন্ন বিষয়ে অনিয়ম পরীলক্ষিত হলে চুয়াডাঙ্গা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পত্রিকা প্রকাশ না করার জন্য নির্দেশনা দেন। সেই নিদের্শনা উপেক্ষা করে পত্রিকা প্রকাশ অব্যাহত রাখা হয় বলেও রুহুল আমিন রতনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।