সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা নির্ধারণের পদ্ধতি খুঁজতে কমিটি

মাথাভাঙ্গা মনিটর: সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা নির্ধারণের উপায় খুঁজতে একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। স্থায়ী পে-কমিশনের পরিবর্তে এ কমিটি একটি সেল গঠনের প্রস্তাব করবে, যার কার্যপদ্ধতিও নির্ধারণ করে দেবে কমিটি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে (সমন্বয় ও সংস্কার) প্রধান করে কমিটিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। গতকাল রোববার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে এ সংক্রান্ত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। অর্থ, জনপ্রশাসন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পরিকল্পনা বিভাগ ও পরিসংখ্যান বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, মহাহিসাব নিরীক্ষকের প্রতিনিধির সমন্বয়ে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা বলেন, এ কমিটিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বলেন, আরেক দফা বেতন বাড়ছে- ইজ টোটালি ফলস। এবার মোটেই আরেক দফা ইনক্রিমেন্টের কোনো ব্যবস্থা আমরা করছি না। গত বেতন কমিশনে আমরা বলেছি, আর ভবিষ্যতে বেতন কমিশন হবে না। সো, উই অলসো প্রোমিজড- অলটারনেটিভ একটা সিস্টেম করতে হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ে আলোচনায় বসলাম। ইট ওয়াজ এ প্রিলিমিনারি ডিসকাশন। অনেকের মন্তব্য আছে, কেউ কেউ বলল এটা কারও প্রবলেম হয়ে যাবে। এই ডিসকাশনের বেসিসে একটা ছোট কমিটি করেছি। আমাদের সেখানে ভিউ হচ্ছে, আর কোনো বেতন কমিশন চাই না। বেতন কমিশনের প্রধান কারণ ছিলো, আমাদের সেলারি স্কেল ডিফারেন্ট ফ্রম আদার কান্ট্রিজ। অ্যাবস্যুলেটলি ডেভলপিং কান্ট্রিজ। তিনি বলেন, আমরা গতবার যেটা করলাম, ওই মোর অর লেস অন্যান্য ডেভলপিং কান্ট্রি যে অবস্থানে আমরা সে অবস্থায় নিয়ে আসলাম। তার ফলে নাউ উই আর ইন এ পজিশন, যে ওইরকম একটা কমিশন করা দরকার।

অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্রাজুয়েলি (বেতন-ভাতা) ইনক্রিজ হবে, এক বছর হবে না, এক বছর হবে। এটা নিয়ে আলোচনা হলো যে, হাউ ডু ইট, একটা সেল বি ফর্ম। তারা একটা রিপোর্ট দেবে। দেয়ার পরে আমরা আবার চিন্তা করবো। বাট বেসিক পয়েন্ট হচ্ছে, দেয়ার ইজ নো ইস্যু অব অ্যানাদার ইনক্রিমেন্ট, নো। এটা হচ্ছে, ভবিষ্যত কীভাবে হবে। তিনি বলেন, যেমন ২০১৭ সালে অনেক কিছুর দাম বাড়বে, পণ্য মূল্যের ক্ষেত্রে ২০১৬ সালের সাথে ২০১৭ সালের ভিন্নতা আছে। সো তাতে কিছু দেয়া হতে পারে। বেতন-ভাতা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের খবর নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ওই হেড লাইনটাই অসুবিধাজনক হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা বসেছি, ভবিষ্যতে কীভাবে করা যায়। ভবিষ্যতে সরকারের জন্য তো কিছু রেখে যেতে হবে। তারা বলবে, ওটা শেষ করে গেলে অন্য উপায় তো বাতলালো না। বর্তমান সরকারের সময়ে আগামী বছরে এটা (নতুন পদ্ধতি) সম্পূর্ণ করা হবে। আমাদের বর্তমানে যে সিস্টেম তাতে ইনক্রিমেন্ট ৫ শতাংশ। সো আমাদের আলোচনায় এসেছে, কোনো সিদ্ধান্ত হয় নাই। যদি ইনফ্লেশন ৪ শতাংশ হারে হয় তার মানে কি বেতন বাড়বে না। যখন ৬ শতাংশ হবে তখন কি বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি দেখতে হবে। এসব কিছু ওই কমিটি দেখবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কমিটিকে তিন মাসের সময় দেয়া হয়েছে। আমাদের টার্গেট হলো, আমরা ২০১৮ সালের মধ্যে কিছু একটা করতে চাই। আমরা আলোচনা করেছি, স্থায়ী পে-কমিশনের আর প্রয়োজন নেই। আমাদের হিসেবে এই সেল ইজ গুড এনাফ। কমিটিতে জনপ্রশাসন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মতামতের দরকার আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই সেল এখানে (অর্থ মন্ত্রণালয়ে) কাজ করবে।